বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, “১৯৭১ সালে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালে পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ কামাল বহু প্রতিভার অধিকারী একজন সৃষ্টিশীল মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন তারুণ্যের অহংকার। তিনি শুধু একজন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ছিলেন না, তিনি ছয় দফা ও ১১ দফা আন্দোলন এবং ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে হাতিয়ার তুলে নিয়ে দেশমাতৃকার মুক্তির যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।”
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে শুক্রবার (৫ আগষ্ট) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের ৯ টি স্থানে আলাদাভাবে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহিদ শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক আরও বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তান সেনাবাহিনী অমানবিক নির্যাতন, গণহত্যা চালিয়েও বাঙালিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। তারপরও ষড়যন্ত্র থামেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকেও নির্মমভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের নামটিই মুছে দিতে চেয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। কিন্তু বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির জনকের সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্ন বাস্তব রূপ পেতে চলেছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেল, ভুলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বাবুল ভুঁইয়া, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল হক ভুঁইয়া, উপজেলা মহিলালীগের সাধারন সম্পাদক শিলা রানী পাল, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু দাউদ মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আজিজ, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তুহিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ গোলাম রূপস, উপজেলা যুবলীগের উপপ্রচার সম্পাদক সামাউন মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মেহের, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নাঈম ভুঁইয়া, ভুলতা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ, ভুলতা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ভুঁইয়া, সাধারন সম্পাদক ইকবাল সিকদার, ভুলতা ইউনিয়ন মহিলালীগের সভাপতি রুবি বেগম, সাধারন সম্পাদক খোদেজা বেগম, ভুলতা ইউনিয়ন যুবমহিলালীগের সভাপতি নুপুর আক্তার, সাধারন সম্পাদক সুমা আক্তার সহ অনেকে।