রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দরের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পৃথক ৬ অভিযানে ৭ কেজি গাঁজা ও ১৩০৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি প্রাইভেট কার, ১টি মোটরসাইলেক ও ১টি স্কুটি জব্দ করা হয়।
আসামিরা হলেন: সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাইনাদী এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে রুবেল হোসেন, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. পলাশ, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানাধীন উত্তর যাওরানী এলাকার আব্দুল গনি মিয়ার ছেলে মো. মমিনুল, ডিএমপির বংশাল থানাধীন জগন্নাথ বসাক লেন নবাবপুর এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে মো. মাসুম, কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার এলাকার হাজী মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে বশির আহমেদ, কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন রানীচরা এলাকার আব্দুর রব মোল্লার ছেলে বেলাল হোসেন, ফতুল্লার ভোলাইল শান্তিনগর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে আল আমিন, ফতুল্লা পঞ্চবটি আমতলা এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. রাজু এবং ডিএমপির গেন্ডারিয়া থানাধীন ধুপখোলা ডিস্ট্রারী রোড এলাকার মৃত নীহাল ইসলামের ছেলে মো. রহমতউল্লাহ।
র্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৬টি পৃথক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকার তল্লাশী করে ১০০ বোতল ফেনসিডিলসহ মো. রুবেল হোসেন (২৬), মো. পলাশ (২২) ও মো. মমিনুল (৩৫) নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। একই এলাকায় ১টি স্কুটি তল্লাশী করে ৩০২ বোতল ফেনসিডিলসহ মো. মাসুমকে (৩২), ১টি প্রাইভেটকার তল্লাশী করে ৫০০ বোতল ফেনসিডিলসহ মো. বশির আহমেদকে (২২) গ্রেফতার করা হয়। এদিকে বন্দর উপজেলায় ১টি প্রাইভেটকার তল্লাশী করে ৩০১ বোতল ফেনসিডিলসহ মো. বেলাল হোসেন (৩০), ১টি মোটরসাইকেল তল্লাশী করে ১০০ বোতল ফেনসিডিলসহ মো. আল আমিন (৪২) ও মো. রাজুকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়। একই এলাকা থেকে ৭ কেজি গাঁজাসহ মো. রহমত উল্লাহ (৫২) হাতে-নাতে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই ৬ অভিযানে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ৩টি প্রাইভেটকার, ১টি মোটর সাইকেল ও ১টি স্কুটি জব্দ করা হয়। এছাড়া গ্রেফতারকৃতদের ব্যবহৃত ১১টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন ও নগদ ১৫ হাজার ১১০টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার স¤্রাট তালুকদার জানান, আসামিরা প্রত্যেকেই মাদক পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অভিনব কৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ও গাঁজা পরিবহন করে নিয়ে এসে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।