টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে গিয়েছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, যা নিয়ে জেলা জুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। এ ব্যাপারে বিএনপি নীতিনির্ধারণী ফোরামের হস্তক্ষেপ দাবী করেছে ফতুল্লা থানা বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন শিকদার গনমাধ্যমকে জানান, আমি জানতে পেরেছেন এবং নিশ্চিত হয়েছেন যে জাহিদ হাসান রোজেল ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতৃবৃন্দের সাথে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর মাজারে গিয়েছিলেন। যেটা তার যাওয়া মোটেও উচিত হয়নি। ইতিমধ্যেই বিষয়টি দলীয় শির্ষ কর্মকর্তা জেনেছেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে তদন্ত কমিটি করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ পরে জানতে পেরেছেন রোজেলের বিষয়টি। যদি সে গিয়ে থাকে তাহলে সেটা অতন্ত্য দুঃখ জনক ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা। যেহেতু জাতীয় পত্র-পত্রিকায় বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সে ক্ষেত্র কেন্দ্রীয় নেতারা হয়তো বিষয়টি দেখেছেন। তারা কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটা তারাই বলতে পারবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, কেন্দ্র থেকে এ বিষয়ে জানতে ফোন দিয়েছিলো। আমি সন্ধ্যার পর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের সাথে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে আলাপ করবো। দু’জনে বসে সিদ্ধান্ত নেবো কি করা যায়।
তদন্ত কমিটি কতো সদস্যর হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা এক অথবা দুই সদস্যর হতে পারে। খুব বড় কমিটি করার প্রয়োজন নেই।
অপরদিকে নারায়নগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি গনমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি জেনেছি। রোজেল জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এবং ফতুল্লা থানার আহবায়ক দু দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকারী তিনি। একটি দ্ধায়িত্বশীল জায়গায় থেকে তার যাওয়া উচিত হয়নি। তিনিও একটি দ্ধায়িত্বশীল জায়গায় রয়েছেন। তাই এই দ্ধায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আপাতত কিছুই বলতে পারছিনা। তবে বিষয়টি ঠিক হয়নি।
কেন্দ্রীয় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম জানায়, আমিও বিষয়টি জেনেছেন। সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি আরো ভালো ভাবে জানতে চান। তবে তিনি (রোজেল) যদি সেখানে গিয়ে থাকেন তাহলে দলীয় হাই কমান্ড হয়তো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
উল্লেখ্য যে, ১২জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে ফতুল্লা থানা আ’লীগের কয়েকজন নেতার সাথে একটি কালো মাইক্রোবাসে করে টুঙ্গীপাড়ায় যান বিএনপির এ নেতা। মাজারের গেটে সাংবাদিকদের দেখে তিনি সাথে সাথে গাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে নিজেকে লুকিয়ে ফেলেন। তবে সাংবাদিকরাও নাছোরবান্দা। গাড়ির কাছে গিয়ে রোজেলের সাথে দেখা করেন এবং কুশল বিনিময় করেন। সাংবাদিকরা তার সাথে কথা বলে ফিরে আসার সময় বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন রোজেল।