রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেছেন, ‘রূপগঞ্জে ফুড কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আমরা ৫১ জন শ্রমিককে হারিয়েছি। এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এ ঘটনার সাথে যারা প্রাথমিকভাবে সম্পৃক্ত আছে বলে মনে করেছি তাদের বিরুদ্ধে আমরা একটি মামলা দেই এবং আমরা ৮ জনকে গ্রেফতার করি। গ্রেফতারের পরে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে আমরা রিমান্ড প্রার্থনা করি এবং আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে আমরা আদালতে প্রেরণ করি। আদালত ৮ জনের মধ্যে ২ জনের জামিন মঞ্জুর করেন।’
বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেলে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘তাদের বিল্ডিং কোড মানা হয়েছিলো কিনা, বিল্ডিংয়ে কি ত্রæটি ছিল, কর্মপরিবেশে কোন ধরনের ত্রæটি ছিল, এ রকম যতগুলো অভিযোগ উঠেছিল, সে বিষয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা আমাদের বেশিরভাগ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তারা বলেছেন যে, এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’
ঘটনার পর গঠিত ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল কারখানা ভবনের অপ্রতুল অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার কথা জানিয়েছে। তবে রিমান্ডে এই বিষয়ে নিজেদের কোনো গাফিলতির কথা স্বীকার করেননি বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা কী ধরনের তথ্য দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অগ্নিকান্ডের কারণ সম্পর্কে কিছু বলেননি তারা। তাদের গাফিলতি ছিল কিনা সে বিষয়টিও স্বীকার করেনি। আরও কিছু তথ্য জানতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, সেসব নিয়েও কোনো কথা বলেননি তারা। আবার অনেক প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি। প্রশ্নের উত্তরে কেবল নীরবতা পালন করেছেন। তবে মর্মান্তিক এই ঘটনার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তারা।’
এক প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, ‘আমরা যা যা পেয়েছি এবং আগামীতে পাবো, সেসব নিয়ে যাচাই-বাছাই করে আদালতের কাছে পুলিশ প্রতিবেদন দায়ের করবো। প্রয়োজনে আবার রিমান্ডে নেবো।’