রূপগঞ্জে বিএনপি ও ছাত্রদলের আরো পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হুমায়ুন কবির মোল্লা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কোষাধ্যক্ষ ও রূপগঞ্জ উপজেলার মর্তুজাবাদ এলাকার শাহজালালের ছেলে গুলজার হোসেন, ভোলাবো ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও কুরিরয়াল এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে তারিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ও আতলাপুর এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে আনিসুর রহমান, তারাবো পৌরসভার বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক ও নোয়াপাড়া এলাকার হাজী শামসুল হকের ছেলে তাশিফ হক ওসমান, কাঞ্চন পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ও রানীপুর এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন।
এর আগে, শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ভোরে বিএনপি ও ছাত্রদলের ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
দুই দফা গ্রেপ্তারের পর থেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা । গ্রেপ্তার এড়াতে তারা বাড়িঘর ছেড়েছেন।
গত (২৭ নভেম্বর) রাতে বিএনপি ও ছাত্রদলের মশাল মিছিল থেকে মোটরসাইকেলে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ও আহত করার অভিযোগ এনে ছাত্রলীগ কর্মী রাশিদুল প্রধান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) রূপগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুনসহ ৩৮ জনকে নামীয় এবং ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার বাদী রাশেদুল প্রধান উপজেলার রূপসী প্রধান বাড়ির জালাল প্রধানের ছেলে। তিনি নিজেকে তারাবো পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করেন।
ছাত্রলীগ কর্মী রাশিদুল প্রধান জানান, একটি মোটরসাইকেল যোগে রূপসী থেকে কাঞ্চনে বোনের বাড়ী যাবার পথে গাউছিয়া এলাকার এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে দেখেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল করছেন । এসময় তারা বলে শালায় ছাত্রলীগ করে ওরে ধর। তাদের মারধরে হাত ভেঙে যায় ও মাথায় ৬টি সেলাই লাগে। রাশেদুল যে মোটরসাইকেল দিয়ে যাচ্ছিলো সেটিও তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন জানান, এটি একেবারে সাজানো ঘটনা। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে সামনে রেখে আমাদের গ্রেফতার করতে ও ভয়ভীতি দেখাতে এসব মামলা। এসব নাটক করে আন্দোলন দমানো যাবেনা।