রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মো. জাহেদ আলীর নৌকা প্রতীকের গণসংযোগে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় ‘অ্যাকশন অ্যাকশন-ডাইরেক্ট অ্যাকশন, হাত পা কাইট্টা লা-চোখ খুইলা লা’ এমন হুমকি স্বরূপ শ্লোগান দিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ১০/১২ টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ৭/৮ ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আওয়ামীলীগ নেতা পচু প্রধান (৪০), ফজলুল হক (৪৫), যুবলীগ নেতা ওয়াসিম প্রধান (৩০), আমির হামজা (৪২), দুলাল (২২), ডাগু মিয়া (২৫)সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭টি ককটেল উদ্ধার করে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাতে নাওড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মো. জাহেদ আলী বলেন, বুধবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে আমার অনুপস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীরা নাওড়া এলাকায় গণসংযোগকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিনা উষ্কানিতে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে জসীম উদ্দিন জসুর নেতৃত্বে তার সমর্থিত সন্ত্রাসীরা অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত এ হামলা চালায়। হামলায় বহিরাগত সন্ত্রাসীরাও অংশ নেয়।
অপরদিকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে তার উপস্থিতি অস্বীকার করে বলেন, হামলার ঘটনায় আমার কোন কর্মী সমর্থক জড়িত নয়। সুষ্ঠু তদন্ত করলেই সঠিক ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.এফ.এম সায়েদ বলেন, রাত ৯টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নাওড়া এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ, আগামী ১১ নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।