রূপগঞ্জে এক রাতে পৃথক দুটি ঘটনায় বৃষ্টি আক্তার (২৫) ও জান্নাতুল ফেরদৌস (২৩) নামে দুই গৃহবধুকে তাদের স্বামীরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে বৃষ্টি আক্তারকে গলাকেটে ও জান্নাতুল ফেরদৌসকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। অভিযুক্ত ঘাতকদের মধ্যে বৃষ্টি আক্তারের স্বামী ইমন গাজীকে পুলিশ আটক করলেও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী আবদুল্লাহ চৌধুরী ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়। শুক্রবার মধ্য রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের আমলাব এলাকায় ও ভোরে মৈকুলী এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃষ্টি আক্তারের গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জের ভাগুলিয়ায়। তিনি স্বামীর সাথে রূপগঞ্জের আমলাব এলাকায় ভাড়া বাসা থাকতেন। অপর নিহত জান্নাতুল ফেরদৌসের গ্রামের বাড়ি খুলানার খালিসপুর। তিনি রূপগঞ্জের মৈকুলী এলাকায় স্বামীর সাথে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
রূপগঞ্জ থানার ভূলতা ফাঁড়ির পুলিশ পরির্দশক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির সাথে তার স্বামী ইমনের পারিবারিক কলহ চলছিলো। এর জেড়ে শুক্রবার রাতে সাড়ে তিনটার দিকে তাদের স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী বৃষ্টিকে ছুরিকাঘাত করে ইমন। পরে তাকে গলা কেটে হত্যা করে। ওই সময় বৃষ্টির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে ঘটনা দেখে থানায় ফোন করে। পরে পুলিশ গিয়ে ইমন গাজীক আটক করে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, ফেইসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে জান্নাতুল ফেরদৌস ও আবদুল্লাহর বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামী আবদুল্লাহ তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিলো। রাতে দুজনের মধ্যে এ নিয়ে ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে আবদুল্লাহ ঘর থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের রুমের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘরে ফিরে আসেন এবং স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, মরহেদ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুটি ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইমন গাজীকে আটক করা হয়েছে, অপর অভিযুক্ত অবদুল্লাহকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।