রূপগঞ্জে অপহরণের ২ দিন পর নাঈম (১২) নামে অপহৃত এক কিশোরকে উদ্ধারসহ এ চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ মে) রূপগঞ্জে উপজেলার যাত্রামুড়া এলাকার সোনালী পেপার মিলের পাশে একটি পরিত্যক্ত তুলা কারখানা থেকে আহত অবস্থায় নাঈম উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত অপহরণকারী হলো বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার মধ্য দিঘলকান্দি এলাকার মো. মাসুদ প্রামানিকের ছেলে শাওন প্রামানিক (১৯)।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিশোর নাঈমের বাবা লক্ষীপুর যাত্রীবাহী লঞ্চে কাজ করে। দীর্ঘদিন যাবৎ তার মা কিশোর নাঈমকে নিয়ে রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া এলাকায় ভাড়া থাকে এবং একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরীতে কাজ করেন। কিশোর নাঈম তার মাকে সাহায্য করতে ওয়ান স্টার রেস্টুরেন্টে কাজ করে।
গত (২৯ মে) রবিবার দিবাগত রাতে কিশোর নাঈম কাজ শেষে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণকারীরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় এবং রাত দেড়টায় দিকে কিশোর নাঈমের বাবার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে মুক্তিপণের টাকা দাবি করলে নাঈমের বাবা তার মাকে এ বিষয়টি জানালে তিনি ছেলের মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে বন্ধ পান। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা-খুঁজি করেও ছেলের সন্ধান পাননি। পরে (৩০ মে) সোমবার সকাল ১০টার দিকে কিশোর নাঈমের মা তারাব বিশ্বরোড এলাকায় ডিউটিরত পুলিশ এসআই আবু হানিফ মিয়াকে এ অপহরণের বিষয়টি জানালে অপহরণকারীদের বিকাশ নাম্বারে কল দিয়ে টাকা দেয়ার কথা বলেন তিনি।
পরে অপহরণকারীরা যাত্রামুড়া এলাকার সোনালী পেপার মিলের পাশে একটি বিকাশের দোকানে আসতে বলে। তাদের কথা মতো এসআই আবু হানিফ ও কিশোর নাঈমের মা উক্ত স্থানে গিয়ে শাওন নামে একজন অপহরণকারীকে দেখতে পান। যে চাঁদার টাকার জন্য দাঁড়িয়েছিল।
এসআই আবু হানিক শাওনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপহৃত নাঈমকে আহত অবস্থায় যাত্রামুড়া সোনালী পেপার মিলের পাশের একটি পরিত্যক্ত তুলা কারখানা থেকে উদ্ধার করে। অপহরণকারী শাওনকে আটক করে রূপগঞ্জ থানায় প্রেরণ করেন । এ বিষয়ে অপহৃত কিশোর নাঈমের মা রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, অপহৃত কিশোর নাঈমকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। অপহরণকারীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা হয়েছে।