ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, ‘নির্বাচন আচরণবিধি মানবেন এবং শতভাগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এই বাসনা নিয়ে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করুন। আপনি যে মার্কা বা প্রতীকের হন না কেন আমরা প্রত্যেককেই সম্মান জানাই। আপনি ডাব মার্কা হন আর নারকেল মার্কাই হন না কেন এখন আমাদের কাছে সকলেই সমান। আমরা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও সুন্দর কতে চাই আপনার সকলে আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন।’
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে বন্দর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এই সময় বন্দরের ৫ ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য পদপ্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিসি বলেন, ‘মানুষের ভোট পাওয়া কিন্তু সৃষ্টিকর্তার দান। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় কিন্তু মানুষ ভোট দেয়। এমনও দৃষ্টান্ত আছে ভোটের আগের রাতে একজনের টাকা খেয়েছে বুথের মধ্যে গিয়ে সে মার্কা থেকে সরে এসে যাকে পছন্দ তাকে ভোট দিয়েছে। সুতরাং আপনি এখানে দশ-পনেরোটা ক্যাম্প করছেন, গণসংযোগ করছেন কিন্তু কিছু হবে না। মানুষের ভালোবাসা যদি সত্যিকারে থাকে আপনি দূরে থাকলেও কিংবা আপনি বসে থাকলেও তারা কিন্তু আপনাকে ভোট দিবে। নির্বাচনে কিন্তু সবাই জয়লাভ করবে না। চার জন দাড়িয়েছে একজন জয়লাভ করবে। একটু মানসিকতাটা ভালো করেন। আমরা কেন যেন নির্বাচনে হার মেনে নিতে চাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রেও আমরা কারো থেকে কম যাই না। একজন যদি এক হাজার পোস্টার করে, আমি তাহলে দুই হাজার করবো তারপর একজনের পোস্টারের উপর আরেকজনের পোস্টার না লাগানো পর্যন্ত শান্তি হয় না। আমরা আপনাদেরকে বলতে চাই, অন্ততপক্ষে নির্বাচনের যে আচরণবিধি আছে সেগুলো মেনে চলুন। অতিরিক্ত ক্যাম্পগুলো সরিয়ে না নিলে কালকে থেকে সে ক্যাম্পগুলো আমরা ভেঙে গুড়িয়ে দিবো। আপনি যে কায়দা করেন না কেন কোনোভাবে আপনি তা ঠেকাতে পারবেন না।’
ডিসি বলেন, ‘নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে। তার জন্যে যদি আমাদের এখান থেকে চলে যেতে হয় আমরা তাতে রাজি আছি। এর জন্যে যা যা করার আমরা তা করবো। আপনারা পোস্টারের নিচে লিখেছেন, জনসেবা করার সুযোগ দিন। আমাদের পোস্টারে নিচে লেখা আছে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চাই, এর কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
এ সময় বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরত-এ-খুদার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, জেলা নির্বাচন অফিসার মতিয়ুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমা তুজ জোহরা, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা প্রমুখ।