আত্মহত্যা নয় বরং শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যা করেছে গৃহবধু মহিতুন বেগমকে (৪৫)কে। এক মাস ৫ দিন পর শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ওই গৃহবধুর শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি ওঠে আসে।
এদিন রাতেই এ ব্যপারে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় স্বামী আব্দুর রব মিয়াকে। এর আগে, নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে গৃহবধুকে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আড়াইহাজার উপজেলার বাজবী মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মুহিতুনের সঙ্গে স্বামী আব্দুর রবের প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। গত ১৬ জুলাই রাত ১০টার দিকে আব্দুর রব মিয়া, স্ত্রী মহিতুন বেগম ও তাদের সন্তানরা রাতের খাবার শেষ করে ঘুমাতে যায়। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আব্দুর রব মিয়া ডাক-চিৎকার করে প্রতিবেশিদের জানান তার স্ত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তখন এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শেখ ফরহাদের নেতৃত্বাধীন মেডিক্যাল বোর্ড মতামত উল্লেখ করে, মহিতুনের মৃত্যু শ্বাসরোধের ফলে অ্যাসপিক্সিয়ার কারণে হয়েছে।