নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভির পরিচয় বহন করে ডিপিডিসি কর্মকর্তার নিকট থেকে ক্যান্সার রোগীকে সাহায্য ও ঈদুল ফিতরে অসহায় দরিদ্র মানুষদের ঈদ উপহার দেওয়ার কথা বলে অর্থ আদায় করার অভিযোগে ফেরদৌস আরা লতা (৪৪) নামক এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১’র সদস্যরা।
গ্রেপ্তারকৃত ফেরদৌস আরা লতা ফতুল্লা থানার ২৯২ দেওভোগ পানির ট্যাংকির মৃত আব্দুল মান্নান মিয়াজির মেয়ে।
রোববার(২৪ এপ্রিল) দুপুরে তাকে দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা র্যাব-১১’র সদস্যরা। পরে রাতে তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানার দক্ষিণ সস্তাপুরের মৃত আফছার আলী মোল্লার পুত্র ডিপিডিসি কর্মকর্তা মোল্লা মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়েছে যে, গ্রেফতারকৃত ফেরদৌস আরা লতা নিজেকে নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভির কন্ঠ নকল করে এবং নিজেকে নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভির পরিচয় বহন করে চলতি মাসের ১৮ তারিখ রাত দশটার দিকে বাদী কে ফোন করে বলে
“আমি সেলিনা হায়াৎ আইভী বলছি। একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর জন্য সাহায্যের দরকার। আমি বিভিন্ন জায়গায় মানুষের সাহায্যে দিয়ে যাচ্ছি, আমার পাশাপাশি আপনারাও মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন।
সামনে ঈদুল ফিতর আসিতেছে, এই ঈদে আমরা গরীবদের যাকাত দেই। আপনারা আপনার কর্মস্থলের সকলে মিলে মুমূর্ষু রোগীর যাকাত স্বরূপ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলে একটি প্রাণ বেঁচে যায়। আমি যতটুকু পারি সাহায্যে দিব। পাশাপাশি আপনারাও সহযোগিতা করবেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাদী ১৯ তারিখ সকালে নিজ বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রথম দফায় ৫ হাজার এবং দ্বিতীয় দফায় আরো পাচঁ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করে। পরবর্তীতে বাদী তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ডিপিডিসি নারায়ণগঞ্জ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিছের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে তিনি বাদী কে বলন যে সে প্রতারণার শিকার হয়েছে।
যাকে টাকা পাঠানো হয়েছে সে আসলে প্রকৃত মেয়র নয়। এবিষয়ে র্যাব-১১”র নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে রোববার দুপুরে প্রতারক নারী কে গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, রাতে র্যাব-১১’র সদস্যরা রাতে প্রতারক নারী কে থানায় সোপর্দ করেছে।