বিধাতার আস্থা ভাজন হওয়া যায় এমন বিশ্বাস মানুষের মধ্যে জন্ম দিয়ে হাতিয়ে নিতেন মোটা অংকের অর্থ। বিভিন্ন সময় মানুষের আত্ম বিশ্বাসের সাথে প্রতারণা করে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে ভন্ড দয়াল বাবা নিজাম উদ্দিন (৬৮)। ১৯৯৭ সালে তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে ছদ্মবেশ ধারণ করে পলাতক ছিলেন তিনি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ পুলিশের কড়া নজরদারির হাত থেকে রক্ষা পায়ানি ভন্ড দয়াল বাবা।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা এলাকায় ভন্ড দয়াল বাবার শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভন্ড দয়াল বাবা নিজাম উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল এলাকার মো. কালাম মিয়ার ছেলে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) ওসি তদন্ত হাফিজুর রহমান মানিক লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, আসামী ভন্ড দয়াল বাবা বিধাতার আস্থা ভাজন হওয়া যায় এমন বিশ্বাস মানুষের সৃষ্টি করে। তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতো। এছাড়া অসংখ্য মানুষের সাথে ভন্ডামি করে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতো। তার বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় একটি প্রতারণার মামলা হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশ ধারণ করে মানুষের সাথে প্রতারণা করতো।
তিনি আরও জানান, ২০০৬ সালে বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা দিয়ে ৩ বছরের কারাদন্ড রায় দেয়। কিন্তু আসামী আইনশ্ঙ্খৃলা বাহিনীরে চোখ ফাঁকি দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা এলাকায় নিজ শ্বশুর বাড়িতে অস্থান করছিলেন। দীর্ঘ নজরদারির পর তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। আসামীকে আজ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।