মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, পিপিএম (বার) পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ বলেছেন, আপনাদের প্রতি অনুরোধ মাদক ব্যবসায়ি বা নেশাগ্রস্থদের বাড়ি ভাড়া দিবেন না। এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা কিশোর গ্যাং ও মাদক। শতভাগ চেষ্টা করবো তা নির্মূলে।
কিন্তু এ জন্য প্রতিটি এলাকায় পাড়া মহল্লায় কিশোর গ্যাং ও মাদক বিরোধী কমিটি গঠন করে কাজ শুরু করবো। আপনাদের এতে ভূমিকা পালন করতে হবে।
ভুল ক্রটি থাকলে খোলামেলা আলোচনা করে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা স্বচ্ছতা নিয়ে শুদ্ধতার সাথে কাজ করতে চাই। মাদক ও কিশোর গ্যাং সমাজে ভাইরাসের মত ছড়িয়ে যেন না পড়তে পারে।
এগুলো সমূলে উৎপাটন করতে সমাজের স্তরে স্তরে প্রতিরোধে সংগঠিত হতে হবে। এ জন্য পুলিশ আপনাদের পাশে ছিল, রয়েছে ও থাকবে।
বুধবার (১৮ আগষ্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ৫০ বছর কলংক শহরের চাঁনমারী মাদকের বস্তি উচ্ছেদ পরবর্তী গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি সকলের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
এসময় সেখানে উপস্থিত থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানায়, শহরের চাঁনমারী এলাকার সি বার্ডস কমিটি সাধারণ সম্পাদক নুরু হোসেন টিটু, আদর্শ মহিলা কল্যান সংস্থার সভাপতি নূর জাহান বেগম, বাংলা বাজার সূর্য্য তরুণ সংঘের এডমিন ফয়সাল আহমেদ রিমন, মানবিক নারায়ণগঞ্জ সাংগঠনিক সম্পাদক নিজামউদ্দিন, জেলা নারী কল্যান সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রহিমা আক্তার লিজা, এইড বাংলাদেশে নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমানসহ প্রমুখ।
এ ছাড়াও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম আরো বলেন, এখন একটি সমস্যা ভালো ছেলেরা আগে একটি ভদ্র কার্ট দিয়ে চুল কাটতো। কিন্তু এখন এমন এক বখাটে চুলের স্টাইল এসেছে যে নিম্ম শ্রেণী থেকে শুরু ভদ্রলোকের ছেলেরা একটি স্টাইলে বখাটেদের মত চুল কাটছে। এতে কে যে বখাটে তা নির্ণয় করতে সমস্যা হচ্ছে।
একটু সাহস নিয়ে এগিয়ে আসুন। দেখবেন অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। আমি যদি নিজে সমাজ থেকে মাদক ও কিশোর গ্যাং নির্মূলে কঠোর না হই। আমার ছেলে মেয়েও তা থেকে নিরাপদ থাকবে না। এ জন্য আমাদের নিজেদের রক্ষায় নিজেদেরই সচেতন হতে হবে।