নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোর্রেশনের ২০নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মদনগঞ্জ ইউনিয়ন ভুমি অফিস। এখানে দীর্ঘ এক বছর ধরে তহসীলদার না থাকায় উপসহকারী তহসীলদার দুলাল বাবুই রাজত্ব করে যাচ্ছে। তার একক নেতৃত্বে ভুমি অফিসে কায়েম হয়েছে অনিয়ম-দূর্ণীতি আর ঘুষের রাম রাজত্ব। নাম প্রস্তাব, নামজারী, ডিসিআর সংগ্রহ, খাজনা দাখিলা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই তাকে ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয়না দুলাল বাবুর অফিসে। নির্ভেজাল জায়গার মালিকরাও এখানে নানাভাবে হয়রানীর শিকার হন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেনশাহ আহমেদ মদনগঞ্জ মৌজায় ৯ শতক জমি সম্প্রতি নামজারী করতে যান মদনগঞ্জ ইউনিয়ন ভুমি অফিসে।
এ সময় উপসহকারী তহসীলদার দুলাল বাবু নামজারী বাবদ কাউন্সিলরের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। পরে তিনি দুলাল বাবুকে এক লাখ টাকা দিলে নামজারী সম্পন্ন হয়।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর শাহেনশাহ আহমেদ জানান, তিনি ৯ শতাংশ নির্ভেজাল জমির নামজারী করতে দুলাল বাবুর কাছে যান। দুলাল বাবু তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। পরে তিনি এক লাখ টাকা দিলে নামজারী করে দেন।
সোনাকান্দা এলাকার তাওলাদ হোসেন জানান, তিনি ৩ শতাংশ জমির নামজারীর জন্য গেলে দুলাল বাবু তার কাছেও মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। তিন মাস আগে তিনি দুলাল বাবুকে ৭০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু টাকা নিয়েও দুলাল বাবু নামজারী করে দিচ্ছেননা। আরও টাকা পেতে তাকে নানাভাবে হয়রানী করছে বলে জানান তাওলাদ হোসেন। এভাবে দুলাল বাবু ১২ জন উমেদার নিয়োগ দিয়ে জমির মালিকদের কাছ থেকে ঘূষ বাবদ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। রাহাত নামে তার প্রধান উমেদার এসবকিছু চতুরতার সাথে সামাল দিচ্ছেন বলে সূত্র জানায়। প্রতি মাসে অর্ধশত নামজারী হয় এ অফিসে। প্রতি নামজারী ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয় এই অফিসে। ডিসিআর সরবরাহ আর খাজনা দাখিলায়ও মোটা অংকের ঘূষ আদায় করা হয় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে।
অভিযোগের বিষয়টি জানতে মোবাইল ফোনে দুলাল বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।