নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় বুয়েট শিক্ষার্থী লাশ উদ্ধারের পর নানা আলোচনা তৈরী হয়েছে নারায়ণগঞ্জসহ পুরো দেশব্যাপি। ময়নাতদন্ত ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিবেদন অনুযায়ী গণমাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে হত্যার আলামত। কিন্তু এখনো কে বা কারা হত্যা করেছে তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে বেড়িয়ে এতো নতুন এক তথ্য।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহিদুর রহমান রিপন।
এদিকে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন- ডিবি এমন তথ্য জানানোর আগে র্যাবের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার কথা জানানো হয়। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ নিহতের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অগ্রগতি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এ ঘটনায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা হয়। ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। মামলার পর গত ১০ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।