প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিরোপ মন্তব্য করায় দল থেকে বহিস্কৃত হওয়া নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের বিতর্কিত সেই চেয়ারম্যান লায়ন বাবুল স্বপদে বহাল হয়েছেন। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন বাবুলকে ক্ষমা প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) জনাব মির্জা আজম এমপি মহোদয়ের নির্দেশে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে লায়ন বাবুলকে ক্ষমা প্রদর্শন করে স্বপদে বহালের নির্দেশ দিলেও বিষয়টি রোববার (১৩ মার্চ) নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের এক বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে মাহবুবুর রহমান বাবুল বলেছিলেন, বারদী এলাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও আসতে হলে আমার অনুমতি নিতে হবে।
বাবুলের এমন মন্তব্যে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় লায়ন মাহবুবকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবীও জানান জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। এক পর্যায়ে লায়ন বাবুলকে দল থেকে বহিস্কারও করা হয়। পরে লায়ন বাবুল ভুল স্বীকার করে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দেশ ও জাতি এবং আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চান বাবুল।
এদিকে আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি সোনারগাঁ উপজেলা বারদী ইউনিয়নের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি সম্পর্কে আপনার মনগড়া বক্তব্যের অভিযোগে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ৪৭(ক) ধারা অনুযায়ী আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলন করে আপনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ও কারণ দর্শানোর নোটিশের লিখিত জবাব দাখিলের মাধ্যমে আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার পূর্বক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি এবং দেশ ও জাতির কাছে গভীরভাবে অনুতপ্ত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তৎসঙ্গে ভবিষ্যতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কোন কার্যকলাপে সম্পৃক্ত হবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) জনাব মির্জা আজম এমপি মহোদয়ের নির্দেশে আদিষ্ট হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আপনার প্রেরিত লিখিত জবাব পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে আপনার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো এবং পদে বহাল রাখার জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগকে প্রদান করা হলো। ভবিষ্যতে সংগঠন বিরোধী কোন কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে, তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।