সাবেক যুবলীগ নেতা নিয়াজুল ইসলাম খানকে দলের একজন ত্যাগী নেতা আখ্যা দিয়ে এড.খোকন সাহা বলেছেন, নিয়াজুলদের মত ত্যাগী নেতারা ছিল বলেই আজ অনেকে আওয়ামীলীগের নেতা হতে পেরেছেন, পদ পেয়েছেন, ক্ষমতার সুখ পাচ্ছেন। অতীতের সেই ক্রান্তি লগ্নে নিয়াজুলরাই রাজপথে ছিল, মামলা খেয়েছে, হামলার শিকার হয়েছে।
১৯৯৫ সালে যখন বিএনপি সরকার যখন ক্ষমতায়, যখন আমাদের চরম দুঃসময়, তখন বিএনপির সন্ত্রাসীরা এই নিয়াজুলকে শরীরে ঠেকিয়ে শটগান দিয়ে গুলি করেছিল। সন্ত্রাসীরা ভেবেছিল নিয়াজুল মরে গেছে, লাশ ভেবে নিয়াজুলকে ফেলে রেখে গিয়েছিল।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নগরীরর ১২ নং ওয়র্ডের বার একাডেমি স্কুলে মহানগর আওয়ামী লীগের ১১ ও ১২নং ওয়ার্ডের সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা এসব কথা বলেন। এদিন ১২ নং ওয়র্ডে নিয়াজুল ইসলামকে সভাপতি ও জাহাঙ্গীরকে সাধারণ সম্পাদক করে ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে ১১নং ওয়ার্ডের নতুন সাধারন সম্পাদক হিসেবে গত সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে জামানত হারানো জসীম উদ্দিনের নাম ঘোষনা করলেও সভাপতির নাম পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে বলে ঘোষনা করা হয়।
সম্মেলনে খোকন সাহা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, নিয়াজুলের ভাই আমাদের যুবলীগ নেতা নজরূল ইসলাম সুইট আজ বেঁচে নেই। কি অপরাধ ছিল তার? বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহেরের সামনে কালো পতাকা ধরে দাড়িয়েছিল। নাকি বাইতুল মোকাররমে বিএনপির সমাবেশের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে ছিল।
তাকে অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হল। সে সময় আমাদের খুব খারাপ দিন যাচ্ছিল। কারন বিএনপি তখন আদালতে নগ্ন হস্তক্ষেপ করছিল। সেদিন আমিও সুইটের হয়ে আদালতে দাঁড়িয়েছিলাম। আদালত আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি।
রিমান্ডে থাকাবস্থায় থানা থেকে বের করে ক্রসফায়ারের নামে সুইটকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই নিয়াজুলকে আজ তৃনমূলের কর্মীরা একক ভাবে সভাপতি হিসেবে দেখতে চেয়েছে। এটাই ত্যাগের মূল্যায়ন, যা আওয়ামীলীগের কর্মীরা করতে জানে।
কর্মী সম্মেলনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক শাহ নিজাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু প্রমুখ।