মৎস খামারে পানি সেচের মটর চুরি ঘটনায় চোরাইকৃত মটর উদ্ধারসহ তিন চোরকে আটক করেছে বন্দর থানা পুলিশ। গত ২৬মে বৃহস্পতিবার রাতে বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাইকৃত মটর উদ্ধারসহ ওই চোরদের আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত চোরেরা হলো বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার মৃত নুর ইসলাম মিয়ার ছেলে আব্দুল হালিম (৩৫) নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে আল আমিন (৪০) ও নবীগঞ্জ কামাল উদ্দিনের মোড় এলাকার মৃত ফকির চাঁন মিয়ার ছেলে শিপলু (২৯)। এ ব্যাপারে মৎস খামার মালিক নূর হোসেন বাদী হয়ে ২৭মে শুক্রবার সকালে চুরি ও চোরাইকৃত মাল নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে গ্রেপ্তারকৃত তিন চোরকে আসামী করে বন্দর থানায় এ চুরি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ৪৭(৫)২২ ধারা- ৩৭৯/৪১১/ পেনাল কোড ১৮৬০।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রæয়ারী রাত ১০টা হইতে ১১টার মধ্যে যে কোন সময়ে বন্দর থানার ১০১ টি-হোসেন রোড এলাকার বাসিন্দা নুর হোসেন মিয়ার মৎস খামারে চুরি সংগঠিত হয়। ওই সময় চোরের দলের প্রধান হোতা নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার মৃত নুর ইসলাম মিয়ার ছেলে আব্দুল হালিম, নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে আল-আমিন ও নবীগঞ্জ কামাল উদ্দিনের মোড় এলাকার মৃত ফকির চাঁন মিয়ার ছেলে শিপুল কৌশলে মৎস খামারে প্রবেশ করে সেচের মটর চুরি করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ্য মৎস খামার মালিক বাদী হয়ে তৎসময়ে বন্দর থানায় একটি চুরি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে চুরি অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা বাসার দীর্ঘ দিন গভীর তদন্তের পর গত ২৬মে বৃহস্পতিবার রাতে নবীগঞ্জ কদমতলীস্থ চোর আব্দুল হালিমের বসত বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে চোরাইকৃত পানি সেচের মটরটি উদ্ধার করে। পরে তার স্বিকারুক্তি মোতাবেক নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা ও নবীগঞ্জ কামাল উদ্দিনের মোড়ে অভিযান চালিয়ে আল আমিন ও শিপলু নামে আরো দুই চোরকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় মৎস খামার মালিক বাদী হয়ে বন্দর থানায় চুরি মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ৩ চোরকে শুক্রবার দুপুরে আদঅরতে প্রেরণ করেছে।