রুদ্রবার্তা২৪.নেট: বন্দরে পারিবারিক কলহের জের ধরে পাষান্ড ছেলের ছুরিকাঘাতে আহত পিতা বিল্লাল শেখ (৪৪) দীর্ঘ ১৩ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুকে বরণ করেন। পুলিশ শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে নবীগঞ্জ মাঠপাড়া এলাকা থেকে অভিযুক্ত ঘাতক পাষন্ড ছেলে বাপ্পী শেখ (২১) কে গ্রেপ্তার করে। উপজেলার নবীগঞ্জ কদম রসুল কলেজ মাঠস্থ মুন্সীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে । নিহত বিল্লাল শেখ শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার পাচক এলাকার মৃত রমিজ উদ্দিন শেখ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হেলাল শেখ বাদী হয়ে পাষান্ড ভাতিজা বাপ্পী শেখকে আসামী করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত বিল্লাল শেখের ১ম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর গত ৩/৪ মাস পূর্বে তিনি আমেনা বেগম নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন। ২য় স্ত্রী আমেনা বেগম, ছেলে বাপ্পী শেখ, মেয়ে উর্মি (১৪) ও ছোট মেয়ে নুসরাত (৫) দেরকে নিয়ে নবীগঞ্জ কদম রসুল কলেজ মাঠ সংলগ্ন মুন্সী বাড়ীতে বসবাস করে আসছে।
ঘাতক বাপ্পী তার সৎমা আমেনা বেগমের সাথে প্রায় সময় অশুভ আচরন আসছে। এ বিষয় নিয়ে প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবেদ ঘটে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টান দিকে বাপ্পী শেখ তার সৎমা আমেনা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে আমেনা বেগমের চিৎকারের শব্দ পেয়ে তার স্বামী বিল্লাল শেখ তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে সে তার পিতাকেও এলোপাথারী ভাবে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে এলাকাবাসী মুমুর্ষ অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করেণ। পরে সেখানে র্দীঘ ১৩ দিন চিকিৎসারত অবস্থায় গত ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিল্লাল শেখের মৃত্যু বরণ করে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে হত্যা মামলার আসামী বাপ্পী শেখকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।