অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে ৮৮২টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলেও রহস্যজনক কারনে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। এতে করে বন্দরে অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের মালিকরা অবাধে তাদের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
দেশের অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার। এ লক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টার যে সময় বেঁধে দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা রবিবার শেষ হচ্ছে। সময় শেষ হওয়ার পর অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
অভিযান চালিয়ে দেশব্যাপী ৮৮২টি অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিরুদ্ধে বন্দরেও অভিযান চেয়েছেন সচেতন মহল।
১ জুন (বুধবার) সকালে বন্দরের বিভিন্ন এলাকার সরজমিনে দেখা যায়, নাসিক ২২ নং ওয়ার্ডের আমিন আবাসিক এলাকায় ছায়া-নুর জেনারেল হাসপাতল এন্ড মেডিকেল সেন্টার, বন্দর বাজার সংলগ্ন বন্দর জেনারেল হাসপাতাল, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় মা জেনারেল হাসপাতাল, দি বারাকা হাসপাতাল, ইশাখা মর্ডান হাসপাতাল, আর কে হাসপাতালসহ একাধিক হাসপাতাল গড়ে উঠেছে।
অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক গুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন কেউ, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন আবার কেউ ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যপারে আফরোজা আক্তার মুক্তাসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, বন্দরে রাতারাতি অনেক হাসপাতাল, ক্লিনিক গড়ে উঠেছে যেখানে প্রায়ই ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশু ও গর্ভবতী মার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। সরকার অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের যে উদ্যোগ নিয়েছে তার বাস্তবায়ন বন্দরে হোক এটা আমার চাই।
এ ব্যপারে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা: এ এফ এম মুশিউর রহমান বলেন, অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান। আগামী সাপ্তাহে আমরা বন্দরে অভিযান চালাবো। এ ব্যপারে বন্দরে বন্দর উপজেলার নির্বাহী অফিসার বি. এম. কুদরত-এ- খুদা বলেন, অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতৈর অভিযান চালানো হবে।