ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার(১৮ ফেব্রুয়ারী)সকালে ফতুল্লার পঞ্চবটী ধর্মগঞ্জস্থ ইউনাইটেড ক্লাবের চতুর্থ তলায় হল রুমে পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। আহবায়াক কমিটির সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম টিটুর সঞ্চালনায় আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেলের সভাপতিত্বে পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিচিতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে কমিটির আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল বলেন, অগণতান্ত্রিক ভাবে রাতে আধারে অনির্বাচিত একটা সরকার সেনা সমর্থন নিয়ে এ দেশের রাষ্ট্রী পরিচানায় এসে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলিত করে রেখেছে মন্তব্য করে ফতুল্লা থনা বিএনপির আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল বলেছেন, সকল নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে যুগ্ম আহবায়ক এবং জেলার নিদের্শিত হয়ে যুগোপযোগী নতুন কমিটি গঠন করবো।
রোজেল বলেন, আমাদের মাঝে বিভেদ আছে, নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে, কিন্তু দল নিয়ে ছিনিমিনি করার করার কোন বিভেদ নেই। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কারো লোক নই, আমারও কেউ না। আমি দলের লোক, দলের লোকদের সাথে কাজ করতে চাই। আমার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত দলের উপর চাপাবো না।
যারা আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় বিগত দিনের পরীক্ষিত, ভবিষ্যতে নেতৃত্বের বিচ্যুতি যাদের মাধ্যমে ঘটবে না, যারা সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারবে, তাঁদের সমন্বয়ে ফতুল্লা বিএনপি গঠন করা হবে। ফতুল্লা বিএনপি নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে অন্যতম পূর্বেও ছিল, আগামীতে হবে। আপনারা জানেন বিএনপির ঘাঁটি হচ্ছে ফতুল্লা।
ফতুল্লা বিএনপির কাছে নারায়ণগঞ্জবাসী অনেক কিছু প্রত্যাশা করে, আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবো। তিনি আরো বলেন,ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন কমিটি মনিটরিং করে গঠন করা হবে। তবে বর্তমান কমিটি না ডিজার্ভ না করেই নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে।কারন নতুন কমিটি গঠন করা হলে পুরাতন কমিটি গঠনতন্ত্রনুযায়ী ভেঙ্গে যায়।
সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম টিটু তার বক্তব্যে বলেন, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই এই কমিটিতে স্থান পায়নি।শুধু মাত্র তদ্ববিরের কারনে অনেক অযোগ্য ব্যক্তি যোগ্যতা না থাকা সত্বেও কমিটিতে স্থান পেয়েছে। তিনি অতি দ্রুত ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার আহবান জানিয়ে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কমিটি করে সঠিক এবং যোগ্যদের নেতৃত্ব নিবার্চন করার কথা বলেন। সার্চ কমিটি করে বা কারো তদ্ববিরে কোন কমিটি করা হবেনা।
প্রয়োজনে প্রার্থীতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে ফরম বিতরন করা হবে। কিন্তু সার্চ কমিটি করা হবেনা। কারন সার্চ কমিটি ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন কমিটি করার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা না রেখে হয়তো বা কারো পক্ষের হয়ে কাজ করতে পারেন। তখন তারা বিতর্কিত হয়ে যাবেন।আর তাই বিতর্ক এড়াতে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কমিটি গঠন করার কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক একরামুল কবির মামুন,এম এ আকবর,রুহুল আমিন শিকদার,আলাউদ্দিন বারী,আলামিন সিদ্দিকি,ওমর আলী, এডঃ আলমগীর,আব্বাস আলী বাবুল, থানা আহবায়ক কমিটির সদস্য এডঃ আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস,রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী সহ আহবায়ক কমিটির সিংহভাগ সদস্য।তবে উপস্থিত ছিলেন না সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক পান্না মোল্লা ও কারাগারে আটক আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর।