ফতুল্লার পঞ্চবটী থেকে আব্দুর রশিদ সরকার (৫২) নামের এক ভূয়া ডাক্তার কে গ্রেপ্তার করে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার (৫ মে) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফতুল্লার পঞ্চবটীস্থ নাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এ ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এন,এস,আই) তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ইলোরা ইায়াসমিনের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ কার্যক্রম প্রতিরোধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আব্দুর রশীদ সরকার দীর্ঘদিন ধরে মেডিসিন, স্কীন-ভিডি, এলার্জি, নাক-কান, গলা, থাইরয়েড, হেড-নেক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন পরিচয় দিয়ে নারায়নগঞ্জ শহরের চাষাড়াস্থ পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পঞ্চবটীস্থ নাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখে আসছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত এর বিচারক কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। যা বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর পরিপন্থী হওয়ায় দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয় এবং একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রশীদ সরকার কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানা পির কাশিমপুরের মৃত বাহার আলী সরকারের পুত্র।
আব্দুর রশীদ সরকার তার প্রতারনার কথা স্বীকার করে বলেন যে সে ১৯৯২-১৯৯৪ সালে সে নারায়নগঞ্জ জেলার কাচপুরস্থ শুভেচ্ছা ট্রেনিং সেন্টার থেকে ডিএমএস কোর্স সম্পন্ন করেন। এরপর সে এক ডাক্তারের তত্ত্বাবধায়নে বেশ কয়েক বছর কাজ করে। পরবর্তীতে লোভে বশবর্তী হয়ে সে এই প্রতারনার কাজ শুরু করে।
সে ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মাসে বগুড়া জেলার আদমদিঘি তে আল সাফা নামক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে গ্রেপ্তার হয়। তখন ভ্রামমান আদালত তাকে ছয়মাসের সাজা প্রদান সহ একলাখ টাকা জরিমানা করে।
পরবর্তীতে আপিল করে দুই মাস পর কারাগারে থাকার পর বের হয়ে নারায়নগঞ্জের চাষাড়া পদ্মা, কেয়ার ও নাজ ডায়াগনস্টিকে বসেন। অন কলে প্রতি রুগী প্রতি তিনি ৫ শত টাকা নিতেন বলে তিনি জানান।