নাশকতার অভিযোগে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরও দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। দুই মামলায় বিএনপির ৪৫ জনের নাম উল্লেখ্য করা হয়। একটি মামলায় পাঁচটি ককটেল উদ্ধারসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে আটকৃত দুই জনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং আরো অনেক অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত দুইজন হলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজির মৃত আফসার উদ্দিনের পুত্র জয়নাল আবেদীন (৫৭) ও একই থানার উত্তর আজিবপুরের মৃত লাল মিয়ার পুত্র মাহাবুব হোসেন (৩৬)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়।
মামলার অপর আসামীরা হলো-নারায়নগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ গিয়াসউদ্দিন, সাধাণ সম্পাধক গোলাম ফারুক খোকন,নারায়নগঞ্জ মহানগরের আহবায়ক এডঃ সাখাওয়াত হোসেন, সদস্য সচিব এডঃ আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি বিল্লাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, জেলার সদর থানার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান, সরকারী তোলারাম কলেজের ছাত্রদল আহবায়ক আতাই রাব্বি, ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতি জোবায়ের আহমেদ অয়ন।
অপরদিকে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ লিংক রোডের চানমারীস্থ জেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে কাভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগ এনে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান সজীব বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় নারায়নগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে প্রধান আসামী এবং মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড: সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভুইয়া, মহানগর স্বেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন রানা, মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাহেদ সহ ৩৩ জনের নাম উল্লখ সহ অজ্ঞাতনামাদের আসামী করা হয়েছে।