‘গবেষণার মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির দ্বারা টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখুন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এবং আগামী প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেল্টা প্লান দিয়েছেন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্প নিচ্ছে। আপনারা সঠিকভাবে নদী সমীক্ষা করবেন। নদী মাতৃর্ক বাংলাদেশের নদ-নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। মেধা যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ব মানের কর্মকর্তা হবেন। রুটিন কাজ নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে দেশের জন্য কাজ করবেন। গবেষনার কোন বিকল্প নেই। আপনারা গবেষনা চালিয়ে যাবেন।’
মঙ্গলবার (৭ জুন) রাজধানীর সেন্টার ফর এনভায়রন মেল্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সাভিসেস (সিইজিআইএস) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা এক ব্যতিক্রম প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভোট নিয়ে ভাবেন না। আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন। তাই ডেল্টাপ্লান ২১০০ দিয়েছেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কাজ করে চলেছেন। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছিলেন ‘দূর্যোগ মোকাবিলায় সারা বিশ্বে শেখ হাসিনা শিক্ষকের ভুমিকা পালন করে চলেছেন’।
উপমন্ত্রী বলেন, আমরা নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী প্রকল্প নিচ্ছি। নদী ড্রেজিংসহ নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব বেশি মাঠ প্রযায়ের কর্মকর্তাদের। কাজেই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন। এখন থেকে আমাদের স্থায়ী প্রকল্প নিতে হবে। এজন্য সূদুর প্রসারি চিন্তা ভাবনা দরকার। প্রকল্প বাস্তবায়ন আন্তরিক হওয়া দরকার। যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে কোন কাজই বাঁধা নয়।
তিনি আরও বলেন, আগে প্রতিবছর হাজার হাজার ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হতো। গত ১৩ বছর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার আসার পর লদী ভাঙ্গন কমে এসেছে। এজন্য দীর্ঘ ও মধ্যম মেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখন আমরা দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করছি যাতে আর কেউ গৃহহারা না হন।
সিইজিআইএস এর কাজের প্রশংসা করে উপ- মন্ত্রী বলেন, আপনাদের গবেষনা কাজ অনেক সুফল দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সুনাম বয়ে আনছেন। আরো ভাল করে কাজ করতে হবে।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান, কর্মকর্তা ও উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ড. মাইনুল হক সরকার, মাহমুদুল হাসান, সাজ্জাত হাসান, মজিবুল হক, সারাফাজ ওয়াজেদ, দিলরুবা আহমেদ, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।