রুদ্রবার্তা রিপোর্ট: নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের ছেলে তরিকুল ইসলাম পলাশ (১৮) জান্নাতুল আক্তার এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে গত ২৮/০৫/২১ ইং তারিখে।কাজী মোঃ ইউনুস স্বাক্ষী মাহবুবা হাসান ও আমির এর উপস্থিতিতে এবং জান্নাতুল এর পরিবারের সামনে এই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হয়েছে।স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে স্বামী ও ভাসরের (আপন দুই ভাই) বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা। গত শনিবার রাতে শাশুড়ি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।আসামিরা হলো- গোদনাইল এসও মন্ডলপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের ছেলে মো: তরিকুল ইসলাম পলাশ (১৮) ও মো: জাজিদুল ইসলাম (২৬)।মালার বাদী সুমিলপাড়া এলাকার হারুর রশিদের স্ত্রী নূর নাহার বেগম (৪৩)।গতকাল রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের সুমিলপাড়া হারুনুর রশিদ এর মেয়ে জান্নাতুল আক্তার ও নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের ছেলে তরিকুল ইসলাম পলাশ (১৮) বিবাহের বন্ধনের সনদ দেখতে পাওয়া যায়।কিন্তু জান্নাতুল আক্তারের মা মোসাঃ নুর নাহার বেগম বাদী হয়ে গত ২৮/০৮/২১ ইং তারিখে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গিয়ে ধারা-২০০০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সংশোধনী-২০০৩ এর ৯(১) ৩০ রুজু করা হয়।যাহা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলার এজহার নং-৫৪ ।এজহারে উল্ল্খে করা হয় ৬ বছর যাবৎ প্রেমের সর্ম্পক এবং ২৮/০৫/২১ ইং ১ নং বিবাদী তরিকুল ইসলাম পলাশের সহিত আমার মেয়ে বিবাহ সম্পন্ন হইয়াছে, আবার ২৩/০৭/২১ ইং তারিখে ভোর ৪ টার সময় জোর পূর্বক ধর্ষণ করে বিবাদী ১ নং তরিকুল ইসলাম পলাশ।এব্যাপারে নাসিক ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মন্ডল বলেন,গত ২৮শে মে ২০২১ ইং তারিখে আমার ছেলে তরিকুল ইসলাম পলাশ ও জান্নাতুল আক্তার এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে।তার মা স্বীকার করেছে উক্ত তারিখে বিবাহ স্বাক্ষীদের উপস্থিতে ও তার পারিবারিক লোকজনের সামনে কাজী মোঃ ইউনুস বিবাহ অনুষ্টিত করেছে।কিন্তু জান্নাতুল আক্তারের মা নুর নাহার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গত২৮/০৮/২১ইং আমার দুই ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে। এটা আমাকে রাজনৈতিক হেয়পতিপন্ন করার জন্য এই কাজ করেন।আমার আরেক ছেলে জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে এজহারে উল্লেখ করেন আত্মীয় স্বজনকে কু পরামর্শ করেন ।কিন্তু তার মা এজহারে স্বীকার করেন, আবার মানুষের কু-পরামর্শে জাহিদকেও ধর্ষণ মামলা দেয়। এক শ্রেনীর লোক কু-পরামর্শ দিয়ে উল্টো-পাল্টো বুঝিয়ে আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এমন কাজ করছেন।তিনি আরো বলেন, ৫ লক্ষ টাকা কাবিন দেনমোহর ২ লক্ষ টাকা ওয়াশিল দিয়ে হাজিরানা মজলিসের উপস্থিতি মেয়ে ও ছেলের স্বাক্ষী এবংমেয়ের পারিবারিক সম্মতিতে ২৮/০৫/২১ইং তারিখে বলিয়ম নং-৫৭ পৃষ্টা নং-৬১ বিবাহ র্কাযক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমার জানান, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন ।এরকম একটি ঘটনায় মামলা হয়েছে,মোঃ সাইফুল ইসলাম অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।