বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, “ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে শুধু একজন ব্যক্তিকে হত্যা করেনি, তারা ইতিহাসকে হত্যা করেছে। তিনি যদি জীবিত থাকতেন, যে পরিশ্রমের দিন আমরা পার করেছি, যে কষ্টের দিন গেল, ফসল তো সব ১৯৭৫-এর মধ্যে আসা শুরু করল, তার মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে। এটা তো চিন্তাভাবনা করেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। কি কষ্টের দিন তার মাথার ওপর ছিল, কি অমানুষিক কষ্ট করে তিনি একটা সংকট থেকে, যুদ্ধ করে দেশকে পাকিস্তানের কাছ থেকে বের করে নিয়ে এসেছেন।
ফসল যখন ঘরে উঠল, সে ফসল ব্যবহার করা হলো না, তখনই তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘাতকপক্ষ ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু তো দেশকে একটা সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছেন, এখন তার শ্রমের ফসল আমরা ভোগ করব, আমরা তার গড়ে তোলা দেশকে শাসন করব। যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন, তবে সাড়ে তিন বছরের কষ্টের ফসলের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির মজবুত ভিত তৈরি হতো। সব তো ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর দেশ যে পথে গেল, হয়তো সে পথে যেত না। তিনি দেশকে একটা পূর্ণতা দিতে পারতেন।”
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে সোমবার (১৫ আগষ্ট) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও ঋনের চেক বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন সোনার বাংলা গড়তে আর সেই স্বপ্ন বুকে নিয়ে দেশে উন্নয়ন করে চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, “বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সোনার বাংলা গড়তে। কিন্তু তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোনার বাংলা গড়েছেন। কিন্তু দুভাগ্য বঙ্গবন্ধু সেই সোনার বাংলা দেখে যেতে পারেননি। কারণ একটি কুচক্রী মহল তাকেসহ পুরো পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বেঁচে গিয়েছিলেন। এরপর তিলে তিলে বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামীলীগকে সাজিয়েছেন এবং এই সোনার বাংলা গড়ে তুলেছেন। তাই এটা বলতেই হয় নৌকা আছে বলেই আজ দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা দারিদ্রহীন ও ক্ষুধামুক্ত একটি দেশ পেয়েছি। আর এই দেশটাকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই নৌকাকে জয়ী করতে হবে।”
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না সোহেল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল ইসলাম মারুফ, নারায়ণগঞ্জ ‘গ’ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন, রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমান উল্লাহ, বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ স্বপন সহ অনেকে।