আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রার্থীদের নিয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ভূঁইয়া বলেছেন, নৌকার বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করলেই কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী দলীয় নেতা বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রসঙ্গে আব্দুল হাই ভূঁইয়া বলেন, আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মী নৌকা দাবি করে। নৌকা মনোনীত না হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিন্ধান্তে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নৌকার বিদ্রোহী হিসাবে তৃণমূল পর্যায়ে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সেই দায় ভার তারই নিতে হবে।
নৌকা প্রার্থীদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী সঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামীলীগ-জাতীয় পার্টি এক জোট হয়ে ভাগাভাগি হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অধীনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন জাতীয় পার্টি লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনে দলীয় সিন্ধান্ত নেয়। লাঙ্গল প্রতীকে যদি জনগনের ভোটে নির্বাচিত হন তিনি হবে ইউপি চেয়ারম্যান। তবে নৌকা প্রার্থীর সঙ্গে ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়লে এ ক্ষেত্রে ছাড় পাবে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ভূঁইয়া গনমাধ্যমকর্মীদের স্বাক্ষাত কালে ওই সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক এবং চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজিমউদ্দিন প্রধান, আলহাজ¦ এম.এ সালাম, মাছুম আহাম্মেদ, আমিরুজ্জামান, একেএম ইব্রাহিম কাশেম, আলহাজ¦ মঞ্জুর হাসান মঞ্জু, সাহাদাত হোসেন, দেলোয়ার হোসেন মদিল, মোক্তার উদ্দিন মুক্তু, শাহীন তাহেরী সিনহা, মো. বাবুল মিয়াসহ আওয়ামীলীগ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।