বিএনপির জাতীয় কমিটির ভাইস চেয়াম্যান ও সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন পর নারায়ণগঞ্জে জনসমাবেশের সুযোগ পেয়েছেন আপনারা। এই সমাবেশে আমাকে ডাকার জন্য ধন্যাবাদ জানাচ্ছি।
দ্রব্যমূল্যে উর্ধগতি ও দুর্নীতি প্রতিবাদ সমাবেশে আজকে অনেক তরুণ উৎসাহি হয়েছে। অনেক বছর ধরে আমরা বক্তব্য দিয়ে আসছি। বক্তব্য দিয়ে এই সরকারে পতন হবে না। দুর্নীতি দুর হবে না।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধবগতি কমে যাবে না। দ্রব্যমূল্য কমাতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি দেশ থেকে বের করে দিতে হয়। তাহলে আজকে রাজনৈতিক দলে সাথে সাথে সাধারণ মানুষকে রাজ পথে নেমে আসতে হবে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় পৌর শহীদ মিনারে দ্রব্যমূল্যের উধর্বগতির প্রতিবাদ সামাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ৫০ বছরের আগের কথা মনে পড়ে যায়। আমরা শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলাম। ৭১ সালে যুদ্ধ ছিলো সাধারণ মানুষের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে যাদের নেতৃত্ব দেয়ার কথা তারা সুযোগ মত সময় মত দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। তারা সেই যে পালালেন এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ জনগণ বসে থাকে নাই নেতাদের অপেক্ষায়।
পাকিস্তান বাহিনী ছিলো ভয়াবহ বাহিনী। তারা ট্যাংক নিয়ে মেশিনগান নিয়ে ছাত্রবাসে হামলা করেছে মহিলাদের নির্যাতন করেছে। আতঙ্ক সৃষ্টি করে কেয়ামত পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলো। কিন্তু সাধারণ মানুষ অপেক্ষায় ছিলো কবে আসবে সাহসি সৈনিককেরা।
কবে এসে তাদের মুক্তি দিবে। এই মুক্তিকামি জনতার প্রতিনিধি হিসাবে মেজর জিয়ার নেতৃত্বে আমরা নেমেছিলাম গ্রামে, গঞ্জে বন্দরে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করেছিলাম। সে দিন যারা দেশবাসিকে ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। ৯ মাস পর তাদের হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা দিয়েছি।
এসময় তিনি নাসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা তৈমুর আলমকে নিয়ে তিনি আরো বলেন, কিছু দিন আগে নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন হলো। বিএনপি’র এক ত্যাগি নেতা তৈমুর আলম তিনি এখানের নির্বাচনে দাড়িয়েছিলেন।
তাকে কেনো দল থেকে বাদ দিয়েছে কেনো তা দিয়েছে আমি জানি না। আমি বিএনপির ক্ষুদ্র নেতা বা কর্মী বলতে পারেন। এই নির্বাচনে তৈমুর আলম অবশ্যই বিজয় হয়ে ছিলেন। ইভিএম কারচুপির মাধ্যমে তাকে পরাজিত করেছেন। শ্রমিক শ্রেনী তাকে ভোট দিতো আপনারা কল কারখান খোলা রেখেছেন।
ভোটে কারচুপি করে জেতার জন্য যত রকম অপকর্ম আছে সব একের পর এক করে গেছেন। এই নিশি রাতের সরকার বাংলাদেশের জনগণের সাথে অনেক ধরণের প্রতারণা করেছে।
সাবেক সাংসদ ও মহানগর সভাপতি এড আবুল কালামের সভাপতিত্বে করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ঢাকা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এড আব্দুস সালাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু সাংগঠনিক সম্পাদক এড আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নাসিক কাউন্সিলর ২৩ নং আবুল কায়সার আশা, ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড সরক্ষিত কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা, ২১ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিরল হান্নান সরকার।