নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মহাসড়কে দিন রাত অবাধে চলছে নিষিদ্ধ থ্রি হুইলার যানবাহন ও সিএনজি। ২০১৬ সালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞার পরও বন্ধ হয়নি এসব যান চলাচল।
নিষেধজ্ঞাকে রীতিমত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন দেদারছে চলছে মহাসড়কে এসব অবৈধ যান। পুলিশের সাথে মাসোহারার বিনিময়ে কিছু ড্রাইভার এসব অবৈধ গাড়ি চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, কিছুক্ষণ পর পর একটি-দুটি করে সিএনজি সাইনবোর্ড থেকে মহাসড়ক হয়ে মেঘনা ঘাট, মদনপুর, তারাবো বিশ্বরোড, গাউছিয়া মার্কেট, পুরিন্দা বাজার এলাকায় যাতায়াত করছে। সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত অবাধে চলছে সিএনজি অটো রিক্সা। গাড়িগুলো এমন বিনা বাধাঁয় চলছে দেখলে মনে হয় না গাড়িগুলো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বা বাঁধা দেখার কেউ রয়েছে।
২০ মিনিট সময়ে অন্তত ১৮/২০টি সিএনজি অটোরিকশা নির্বিঘ্নে চলতে দেখা যায়। বেশিরভাগ সিএনজি অটোরিকশার কোনো নম্বর প্লেট নেই। আবার কেউ কেউ নিয়ম না মেনে উল্টো পথে চলছে।
কাঁচপুরের বাসিন্দা মো. সালাউদ্দিন বলেন, মহাসড়কে সবার সামনে দিয়েই নিষিদ্ধ সিএনজি চলছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর নির্দেশও মানছে না পুলিশ। গোপন আঁতাতের কারণে এসবের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান পরিচালনা না করে বরং সিএনজি চলাচলে যেনো উৎসাহিত করছে।
বলা বাহুল্য, সিএনজিগুলো মহাসড়কে নিষিদ্ধ তার উপর উল্টো পথেই চলাচল করছে, যার ফলে প্রায়শই দূর্ঘটনা ঘটছে। এসব তদারকির জন্য নিয়মিত অভিযান চালানোর কথা থাকলেও হাইওয়ে পুলিশ কখনই তা করেন না বলে দাবি স্থানীয়দের।
সিএনজি চালকদের অবৈধ সিএনজি কেন চালাচ্ছেন এমন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বেশ কয়েকজন চালক বলেন, চলাচল নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি চক্র রয়েছে তাদেরকে মাসে মাসোয়ারা দিলে আমারা মহাসড়কে চলতে পারি। পেটের দায়ে চালাতে হয়।
আমরা কী করবো অবৈধ জেনেও গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আরেক সিএনজি চালক জালাল বলেন, মহাসড়কটিতে তিনি অবাধেই সিএনজি চালাচ্ছেন। কোথাও কোন পুলিশ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের কেউ তাকে বাধা দেয় না।
মহাসড়ক চলাচলে সাধারণ মানুষ সর্বদা সিএনজির চলাচলে আতঙ্কে থাকে। সময় অসময়ে হচ্ছে দূর্ঘটনা। এই সব পরিবহন বন্ধের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে পুরো সড়ক জুড়ে সিএনজির দখলে চলে যাবে এমনটাই আশঙ্কা করেন।
কাঁচপুর হাইওয়ে অফিসার্স ইনচার্জ সাজ্জাদ করিম খান বলেন, আমি এ স্থানে সম্প্রতি যোগদান করায় এ বিষয়ে আমি অবগত নই। আপনাদের দেয়া অভিযোগের বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখবো। তবে আমি এ টুকু বলতে চাই মহাসড়কে কোনো ধরনের অবৈধ যানবাহন চলাচল করলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবো। অবৈধ পরিবহন চলাচলে যদি আমাদের কোন লোক সহযোগীতাও করে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না।
জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশ গাজীপুর রিজিয়নের সহকারি পুলিশ সুপার অমৃত সুত্রধর বলেন, মহাসড়কে তিন চাকার সিএনজি চলার প্রশ্নই আসে না। শুধু সিএনজি নয় সব ধরনের তিন চাকার গাড়ি মহাসড়কে নিষিদ্ধ। এগুলো কঠোরভাবে বন্ধ করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।