রুদ্রবার্তা২৪.নেট: হেফাজতের হরতালে সহিংসতার অভিযোগে মামলায় গ্রেফতার নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (২২ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদের আদালত এ নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারি কাজে বাধা ও নাশকতার অভিযোগে করা তিনটি মামলায় মশিউর রহমান রনিকে আদালতে তোলা হয়। দু’টি মামলার শুনানি হয়নি। বাকি একটি মামলার শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। আদালত না নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বাকি দু’টি শুনানি অন্যদিন হবে। ওই মামলায় রিমান্ড আবেদনও করা হতে পারে বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক।
এর আগে রাজধানী ঢাকার মগবাজার থেকে মশিউর রহমানকে আটক করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পরে সকালে তাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের কথা জানান ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান। তিনি বলেন, মশিউর রহমান রনির বিরুদ্ধে একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। ঢাকা থেকে তাকে আটকের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই থানায় তাকে হেফাজতের সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সহিংসতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়।
‘ছাত্রদল কিংবা তারেক রহমান চিন্তা করলে পুলিশের পোশাক খুলে নেয়া ওয়ান-টু’র ব্যাপার’, ছাত্রদলের এক কর্মসূচিতে এমন বক্তব্য দেওয়ার চারদিনের মাথায় গত ২১ আগস্ট রাতে আটক হন জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনি। গত ১৭ আগস্ট মাসদাইর এলাকায় বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের বাসায় ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের এক কর্মসূচিতে তিনি ওই বক্তব্য রাখেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানকে চ্যালেঞ্জ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর নিখোঁজ হন ছাত্রদল নেতা মশিউর রহমান রনি। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে তার পরিবারের লোকজন। দুইদিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। তাকে একাধিকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ১৪১ দিন কারাভোগের পর ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি জামিন পান মশিউর রহমান রনি।