নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, অনেকেই ধমকের সুরে বলে, কথা বন্ধ রাখেন। আমি কিভাবে কথা বন্ধ রাখব, আমার কাজই জনগণের সাথে তো কথা বলা। যারা বড় বড় কথা বলে, তারা সকলেই ঢাকা থাকে।
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসা করে, চাঁদাবাজি করে সব গুটিয়ে রাতে চলে যায়। দিনে এসে বড় বড় কথা বলে। হুঁশ করে কথা বলবেন। ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে আপনি আপনার ভাইদের বিষয়ে কথা বলেন। যারা ত্বকীকে হত্যা করেছে, তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন।
যারা এই শহরে অগনিত মানুষকে লাঞ্চিত করে, শিক্ষক, মা-বোনদের লাঞ্চিত করে, তাদের জন্য আপনি ক্ষমা চান। আপনি আমাকে কেন ক্ষমা চাইতে বলেন? এত দুঃসাহস আপনার হয় কিভাবে? দুঃসাহস বেশি দেখাবেন না, মিস্টার.ওসমান। কখনো কিছু বলি নাই আপনাদের। বলার যখন সময় আসবে, তখন আপনি পালাতেও পারবেন না।
শনিবার (২ অক্টোবর) বন্দরের ২১ নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা সিটি কমপ্লেক্স ও ৫০ নং সোনাকান্দা বালক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও মুক্তিযোদ্ধা সড়ক উদ্ভোধনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আফসানা আফরোজা বিভা, ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাগর, ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভুইয়া, প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জে যারা বড় বড় কথা বলেন আমি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, ১৮ বছর যাবৎ আমাকে দেখছেন। ধমকে যেহেতু কাজ হবে না। আপনাদের পিস্তলের ভয়েই তো ভয় পেলাম না। দুইবছর আগে মেরেই তো ফেলতে চেয়েছিলেন। গুন্ডা বাহিনী দিয়ে পিস্তল উঠিয়ে গুলি করেছে। সকলের রহমতে বেঁচে গেছি।
এখন আর মুখ বন্ধ করতে বলেন কেন? আবার বলেন, মাফ চাইতে । কার কাছে মাফ চাইবো? কোন অন্যায় কাজ করিনি। এই শহরে কারো কাছে একটা টাকাও দাবি করিনি। চাঁদাবাজি তো কখনো করিনি। আমি কেন আমার বংশের কেউ খুন করেনি। তো কিসের জন্য ক্ষমা চাইবো? আপনার কথায় কেন ক্ষমা চাইতে হবে? আপনি কে? ক্ষমা তো চাইবেন আপনারা।
চল্লিশ বছর যাবৎ এই নারায়ণগঞ্জ শহরে লুটপাট করে খাচ্ছেন, মানুষকে হত্যা করছেন। যা ইচ্ছে তাই বলেন। মাথা আর মাথা দেখা যাবে, এই ধরনের কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের দুই টাকার সম্মান দেন না। তাদেরকে তাদের মতো কাজ করতে দেন না।
মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে স্বাধীনতা নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সংগঠন করতে দেন না। বড় বড় কথা কেন বলেন। নারায়ণগঞ্জ শহরের মানুষ আপনার কথা বলা বন্ধ করে দিবে। কার সাথে লড়তে এসেছেন, কথা বুঝে বলবেন।
বাজে কথা বলবেন না। আপনার তিনটা মেয়ে আছে। আপনি যে উদাহরণ দিয়েছেন, আপনার মেয়েদের কপালে সেই উদাহরণ যেন না পড়ে। সেই বিষয়ে সাবধান থাকবেন।