রুদ্রবার্তা২৪.নেট: : থানা কমিটি গঠনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার হোটেল একাত্তরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিটি গঠন নিয়ে মৃদু বাকবিতন্ডা হয়। জেলা কমিটির আহবায়কের আপত্তিতে কমিটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।
জানা যায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকারকে আহবায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সদস্যসচিব করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। মামুন মাহমুদ পূর্বের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পর জেলার থানা কমিটিগুলো গঠনের উদ্যোগ নেয় জেলা কমিটি। এ বিষয়ে বিভিন্ন থানার কমিটি গঠনের জন্য উপকমিটি গঠন করা হয়। প্রতিটি থানা কমিটির একটি খসড়া কমিটি গঠনের জন্য উপকমিটির সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্য থানা কমিটিগুলোর বিষয়ে কোনো আপত্তি না থাকলেও সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা কমিটি নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আপত্তি তোলা হয়।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হোটেল একাত্তরের বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটি নিয়ে আপত্তি তোলা হয় সভায়। ওই সভায় এই দুই কমিটি বাদ রেখে অন্যান্য কমিটিগুলো চূড়ান্ত করার প্রস্তাব ওঠে। তবে এতে আপত্তি জানান জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকার। এ নিয়ে আহবায়ক তৈমুর আলম ও সদস্যসচিব মামুন মাহমুদের মধ্যে মৃদু বাদানুবাদও হয়।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘বাদানুবাদের মতো ঘটনা ঘটেনি। আমি বলেছি, সবগুলো কমিটি একসাথে চূড়ান্ত করা হবে। কোনোটা বাদ দিয়ে হবে না। কমিটি চূড়ান্ত হলে সবগুলো একই দিনে হবে বলে আমার মত। ফলে আমি বৈঠক থেকে চলে আসি।’
তবে এই বিষয়ে জেলা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের মুঠোফোনের নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার কল করা হলেও মুঠোফোনের নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।