নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ সায়েম আহমেদ পুরোদস্তর নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে কিছুদিন নির্বাচন থেকে তাকে দূরে রাখা হয়েছিল। সে কারনে সায়েম আহমেদ প্রতিটি ঘরে ঘরে যেতে না পারলেও প্রতিটি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন প্রতিবাদী সংগ্রামী এই সাহসী যুবক। তার সাহসী ভুমিকায় নির্বাচন ও সুুষ্ঠু ভোটের দাবিতে আন্দোলনের ফলেই আজকে আলীরকে ইউনিয়নবাসী চেয়ারম্যান পদে ভোট দিতে যাচ্ছেন। যে কারনে আলীরটেক ইউনিয়নের সচেতন নাগরিকরা বলছেন- সায়েম আহমেদকে ভোট দেয়া আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর ইমানী দায়িত্ব। কারন গত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলীরটেকবাসী ভোট দিতে পারেননি। এবারও আলীরটেকবাসীর ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়অর চেষ্টা করা হয়েছিল। মিথ্যা মামলা সহ নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আলীরটেকবাসীর ভোটের অধিকার প্রতিষ্টা করেছেন সায়েম।
যে কারনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদ আলীরটেকবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, আলীরটেকবাসীকে নিয়ে নির্বাচন ও সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে অনেক আগে থেকেই আন্দোলন করে আসছি। নির্বাচন নাগাদ সময়েও সেই ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল, যারা বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। আগামী ১১ নভেম্বর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আশা করি। আপনাদের বিবেকের আদালতে আমি আনারস মার্কায় ভোট চাই, যদি আপনারা মনে করেন আমার আন্দোলন ও লড়াইয়ের কারনে আপনারা ভোট দিতে পারছেন, তাহলে সেই ভোটটি আমি প্রাপ্য কিনা সেটা আপনাদের বিবেকের আদালতে আমার দাবি।
এদিকে আলীরটেক ইউনিয়ন পর্যবেক্ষন করে দেখা গেছে- সায়েম আহমেদের আনারস মার্কার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সাঁজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদকে হয়রানি করায় প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী জাকির হোসেনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আলীরটেক ইউনিয়নবাসী। মামলা দিয়ে হয়রানি ও বাধা বিপত্তি সৃষ্টি করায় সায়েম আহমেদের প্রতি ভোটারদের সহানুভুতির সৃষ্টি হয়েছে। ভোটাররা জাকির হোসেনের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এক সাহসী যুবক যখন ইউনিয়নবাসীর ভোটের অধিকার রক্ষায় ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন তখন আলীরটেক ইউনিয়নবাসী মনে করছেন সায়েম আহমেদকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা ভোটারদের ইমানী দায়িত্ব।
ভোটাররা বলছেন- সায়েম আহমেদকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে নির্বাচন থেকে দুরে রাখার চেষ্টা করা হলেও আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর মনে জায়গা করে নিয়েছেন সায়েম। মামলায় হয়রানির কারনে সময়ের অভাবে সায়েম আহমেদ সকলের ঘরে ঘরে না যেতে পারলেও তাকেই আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবো। সায়েম যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই মা বোনদের ভীড় জমছে। গণসংযোগে গেলে সাহসী সংগ্রামী যুবক সায়েম আহমেদকে দেখতে মা বোনেরা ঘর থেকে বেরিয়ে তাকেই ভোট দিবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নারী ভোটাররা বলছেন- সায়েম আহমেদ আলীরটেকবাসীর ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে, আমরা সেই ভোট তাকেই দিবো। কারন গত নির্বাচনে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আলীরটেকবাসী ভোট দিতে পারেননি। এই সায়েম আহমেদের আন্দোলনের ফলেই আজকে আলীরটেক ইউনিয়নবাসী ভোট দিতে পারবেন।
৭ নভেম্বর আলীরটেক ইউনিয়নের চরআলীরটেক, মধ্য আলীরটেক, আলীরটেক সহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ করে আনারস মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেছেন সায়েম। ওই সময় নারীরা বলেন, সায়েম আমাগো পোলা, আমরা তারে আনারস মার্কায় ভোট দিমু। তারেই চেয়ারম্যান বানামু।
স্থানীয়রা আরো জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের শক্ত প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সায়েম আহমেদ ও তার আত্মীয়স্বজন- নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাঁজানো ঘটনা সাঁজিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল। তাদের দাবি- মুলত সায়েম আহমেদকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন এই প্রার্থী। আলীরটেক ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহমেদকে হয়রানি করায় গণসংযোগে নামায় আনারস মার্কার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, ষড়যন্ত্রের জাল বেধ করে গত ৩ নভেম্বর বুধবার আলীরটেক ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে নির্বাচনী গণসংযোগে নেমেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। যেখানে শতশত নারী সহ হাজার হাজার জনতা তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে, যা রীতিমত জনস্রোত সৃষ্টি হয়।