মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন

ঝড়ের গতিতে জিতে এগিয়ে থাকলো নিউ জিল্যান্ড

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩, ৩.৫০ এএম
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৬.৪ ওভারে শ্রীলঙ্কা করে ১৭১ রান। জবাবে অর্ধেক ওভারে অর্থাৎ ২৩.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে এই রান টপকে যায় নিউ জিল্যান্ড। ঝড়ের গতিতে জিতে সেমিফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকলো ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

৯ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ১০। নেট রান রেট +০.৭৪৩। এই ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড জয় পাওয়ায় পাকিস্তানের জন্য সেমিফাইনালে ওঠাটা একপ্রকার অসম্ভবই হয়ে দাঁড়ালো। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানের জয়ই কেবল জাগাতে পারে তাদের সম্ভাবনা।

বেঙ্গালুরুতে এদিন রান তাড়া করতে নেমে ১২.১ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৬ রান তুলে ফেলে নিউ জিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র শ্রীলঙ্কার বোলারদের দিশেহারা করে তুলেছিলেন বাউন্ডারি, ওভার রাউন্ডারিতে। দুষ্মান্থে চামিরা ৯টি চার মেরে ৪৫ রান করা ডেভন কনওয়েকে শর্ট মিডউইকেটে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার তালুবন্দি করিয়ে ভাঙেন এই জুটি।

সঙ্গী রাচিন রবীন্দ্র বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাহিশ থিকশানের বলে মিডঅনে সেই ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনিও। ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এসেই মারতে শুরু করা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আজ সুবিধা করতে পারেনি। ২ চারে ১৪ রান করেই তিনি ফেরেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের বলে বোল্ড হয়ে। দলীয় রান তখন ১৩০। এরপর ১৪৫ রানের মাথায় নতুন ব্যাটসম্যান মার্ক চ্যাপম্যান সতীর্থ ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে কাটা পড়েন রান আউটে। ১ চারে ৭ রান করে যান তিনি।

হাত খুলে মারতে থাকা মিচেল ম্যাচটি অবশ্য শেষ করে আসতে পারেননি। ১৬০ রানের মাথায় তিনি ফেরেন ম্যাথুজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। ৩১ বলে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।এরপর গ্লেন ফিলিপস ও টম ল্যাথাম ম্যাচ শেষ করে আসেন ২৩.২ ওভারের মধ্যে। ৩ চারে ফিলিপস করেন ১৭ রান। আর ল্যাথাম অপরাজিত থাকেন ২ রানে।

১০ ওভারে ৩ মেডেনে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন নিউ জিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট।

 

তার আগে এম চিন্ময়স্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭০ রান তুলতেই শ্রীলঙ্কা হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। সেখানে থেকে ১৭১ পর্যন্ত যেতে হারায় আরও পাঁচটি উইকেট। ব্যাটিং ব্যর্থতার মিছিলে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন কুশাল পেরেরা। তিনি মাত্র ২৮ বলে ৯টি চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।

১২৮ রানেই ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দলের হাল ধরেন স্পিনার মাহিশ থিকসানা ও পেসার দিলশান মদুশঙ্ক। তারা কিউই বোলারদের বেশ ভোগান। দশম উইকেটে তারা দুজন ৮৭ বল মোকাবিলা করে দলীয় সংগ্রহে মহামূল্যবান ৪৩টি রান যোগ করেন। তার মধ্যে থিকশানার অবদান ২৩ ও মদুশঙ্কর ১৯ (৪৮ বলে ২ চারে)।

দলীয় ১৭১ রানের মাথায় শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মদুশঙ্ক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রাচিন রবীন্দ্রর বলে। থিকশানা ৯১ বল খেলে ৩ চারে করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান। যা ওয়ানডেতে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এছাড়া ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ১৯ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ করেন ১৬ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি।

বল হাতে ট্রেন্ট বোল্ট ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ ৩৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। মিচেল স্যান্টনার ১০ ওভারে ২ মেডেনসহ ২২ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। লোকি ফার্গুসন ১০ ওভারে ২ মেডেন ও ৩৫ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। আর রাচিন ৭.৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort