ছাত্রলীগ কর্মীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অংশ নিয়েছে ১২ জন; তাদের মাঝে অন্যতম ছিলেন স্থানীয় শ্রমিক লীগের এক নেতা।
এমন অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত রাকিব হাসানের বোন আখিঁ আক্তার। বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলাও গ্রহণ করেছে পুলিশ।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সেই ব্যক্তি হলেন গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিবহন শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার। তার হিসেবে ছিলো সজিব, সোহেল, মিল্লাত, ইলিয়াস ও আমুল।
২১ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় উপজেলার গোলাকান্দাইল কাঠপট্টি এলাকায় রাকিবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিবকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনার পর রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত উত্তেজনা চরম পর্যায়ে ছিল গোলাকান্দাইল কাঠপট্টি এলাকায়। প্রথমে হত্যার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে মিছিল করেছেন নিহত ব্যক্তির স্বজন ও অনুসারীরা। পরে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে একটি বাড়ি ও পাঁচটি দোকান ঘরে আগুন দেন ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অন্তত পাঁচটি যানবাহন ভাঙচুর করেছেন।
নিহত রাকিব হাসান ওই গোলাকান্দাইল কাঠপট্টি এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে ও মো. কাউসারের ছোট ভাই। রাকিব হাসান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমানের অনুসারী ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু জানান, গোলাকান্দা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাউসার গ্রুপ ও দেলায়ার গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, দখলবাজী ও বিরোধ চলছিলো। এর জেরে এ হত্যকান্ড সংঘঠিত হয়েছে। নিহত রাকিব হলেন কাউসারের ছোটভাই। নিহতের বোন ৬ জনের নাম উল্লেখ সহ ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে হত্যা মামলা করেছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।