ফেব্রুয়ারির স্মৃতি আবারও ফিরল ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। কারাবাও কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি-লিভারপুল। ওই ম্যাচেও টাইব্রেকার হয়েছিল এবং ১১টি করে শট নিতে হয়েছিল দুই দলকে। শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছিল লিভারপুল।
শনিবার রাতে একই মাঠে এফএ কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় এই দুটি দলই এবং একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি। নির্ধারিত সময় অমিমাংসিত থাকে গোলশূন্যভাবে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কেউ গোল করতে পারেনি।
খেলায় ব্লুজরা যেমন একের পর এক আক্রমণ করেছে। অল রেডসরাও একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে। দুই দলেরই শত্রু হয়ে দাঁড়ায় গোল পোস্ট।
নির্ধারিত সময়ে গোল পায়নি কোন দল। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোল না হওয়ায় শিরোপার সিদ্ধান্ত গড়ায় টাইব্রেকারে। নাটকীয়তা শেষে ওই ভাগ্য পক্ষে এনেছে জার্গেন ক্লপের লিভারপুল।
শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে বাজিমাত করেছে লিভারপুলই। এবার ১১টি করে নয়, শট নিতে হয়েছে ৭টি করে। প্রথম পাঁচ শটের মধ্যে চেলসি একটি মিস করে। শেষ শটে সাদিও মানে গোল করলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত রেডসরা। কিন্তু সেই শট মিস করেন সেনেগাল স্টার।
এর পর চেলসির ম্যাসন মাউন্টের নেওয়া সপ্তম শট ফিরিয়ে দেন অ্যালিসন বেকার। সপ্তম শটে গিয়ে সাডেন ডেথে গোল করলেন কোস্তাস সিমিকাস। তার গোলের পরই শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে। একই সঙ্গে এই মৌসুমেই দুই ফাইনালে লিভারপুলের কাছে টাইব্রেকারে হারের হতাশায় নিমজ্জিত হয় চেলসি।