নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কাজল রেখাকে (৩২) নামে এব বাক প্রতিবন্ধি গৃহবধুকে হাত ও পা বেধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (১৬ আগষ্ট) ভোর ৬টার দিকে পিতলগঞ্জ এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে বাকপ্রতিবন্ধী কাজল রেখার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেহ ভাসতে দেখে নৌকার মাঝি মুনসুর মিয়া স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করেন এবং দেখতে পান জীবিত রয়েছে। পরে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে মৃত্যুর আশঙ্কা কেটে যায়।
হত্যা চেষ্টার ঘটনায় গৃহবধুর মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে চার জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার সূত্র ধরে ওই বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধুর স্বামী জুলহাস ও শ্বাশুরী সাহেরা বেগমকে আটক করেছে।
গৃহবধুর পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ৬ বছর পূর্বে কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়াপাড়া গ্রামের আম্বর আলীর বাক প্রতিবন্ধি মেয়ে কাজল রেখাকে পার্শ্ববর্তী পিতলগঞ্জ গ্রামের মিম্বর আলীর ছেলে জুলহাসের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়।
বিয়ের সময় তাকে নগদ ১ লাখ টাকা, স্বর্নালংকার, ফ্রিজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র দেয় কাজল রেখার পরিবার। বর্তমানে তাদের জান্নাত নামে ৪ বছরের একটি মেয়ে আছে।
এদিকে কয়েকদিন যাবত আবারো টাকার জন্য কাজল রেখাকে নির্যাতন শুরু করে স্বামী জুলহাস ও তার পরিবারের লোকজন। এঘটনায় এলাকায় কয়েক দফা বিচার সালিশও বসে।
নির্যাতনের কথা শুনে শনিবার বিকেলে স্বামীর বাড়ি পিতলগঞ্জ থেকে মেয়ে কাজল রেখাকে আনতে যান মা আকলিমা বেগম। কিন্তু স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন মায়ের কাছে কাজল রেখাকে দেয়নি। এরপর তারা রবিবার সকালে হাত পা বেধে বাড়ীর পাশে শীতলক্ষ্যা নদীতে হত্যার উদ্দেশ্যে ফেলে দেয়।
রূপগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক এসআই পরেশ বাপ্পি বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী জুলহাস ও শ্বাশুরী সাহেরা বেগমকে আটক করেছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।