গায়ানা প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে প্রথম দিন ছিল বোলারদের রাজত্ব। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট ১৬০ রানে। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই থেমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানরা গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৪৪ রানেই।
গতকাল শুক্রবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ২২৩ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে প্রোটিয়ারা এগিয়ে আছে ২৩৯ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। বোলিং পিচে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৯ রান করেন দুই ওপেনার টনি ডি জর্জি ও এইডেন মার্করাম। জর্জি ৩৯ রানে (৭২ বলে) আউট হলেও মার্করাম হাঁকান ফিফটি।
গুদাকেশ মতির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে ১০৮ বলে ৫১ রান করেন মার্করাম। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম হাফসেঞ্চুরি। ৭৫ বলে খেলে ২৪ করে ফেরত যান ত্রিস্টান স্টাবস। ১০ বলে খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি ডেভিড বেডিংহাম।
১৩৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর কাইল ভেরেইনে ও উইয়ান মুলদারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি করেন এই দুই ব্যাটার। দিন শেষে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন ভেরেইনে। অপরপ্রান্তে ৩৪ রান নিয়ে আছেন মুলদার। আর দক্ষিণ স্কোরকার্ডে ৫ উইকেটে ২২৩ রান।
এর আগে ৯৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতেই ২ উইকেট হারায় তারা। দলীয় ১০৩ রানের মাথায় নবম ব্যাটার জোমেল ওয়ারিন (১৬ বলে ০) আউট হন। কোনো রান যোগ না করতেই জায়ডান সিলসের উইকেটও (৭ বলে ০) হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখন মনে হয়েছিল, ১১০ রানও করতে পারবে না স্বাগতিকরা।
কিন্তু দশম উইকেটে শামার জোসেফকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জেসন হোল্ডার। প্রোটিয়া বোলারদের তোপের মুখেও শেষ উইকেটে ৪৩ বলে ৪০ রানের জুটি করেন তারা। এতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেজ করতে না পারলেও রানের ব্যবধান মাত্র ১৬ তে নামিয়ে আনতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।