রুদ্রবার্তা২৪.নেট: আবদুল আরাফাত (৫)। ২ বছন ৮ মাস বয়সেই আক্রান্ত হয়ে পড়ে জটিল দুরারোগ্যে। প্রথমে সমস্যা দেখা দেয় চোখে। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতলে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তাররা টিউমার ক্যান্সার বলে রিপোর্ট দেয়, সেই হতে অদ্য পর্যন্ত বিভিন্ন রোগে জর্জরিত। ৮ মাস আগে অপারেশনের মাধ্যমে বাম চোখ ফেলে দেওয়া হয়। ডাক্তার বলছেন চোখের কারণে ক্যান্সার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে গেছে আরও মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আব্দুল আরাফাতের পিতা আব্দুল জলিল মিয়া (৫৩) ফতুল্লা রেল স্টেশনে চায়ের দোকানদারি করেন। সামান্য আয় থেকে ছেলের নিয়মিত চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
এদিকে চোখের অপারেশনের পর আবদুল আরাফাতের অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। বর্তমানে সে বিছানায় শয্যাশায়ী। উঠবস করতে পারে না, শুধু হাত দুটো লড়াতে পারে। ধীরে ধীরে তার শরীরের সকল অঙ্গ নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে প্রতিমাসে নিয়মিত কেমো থেরাপি দেওয়া হয় এবং কোভিড-১৯, লিভার, কিউনি, প্রসাব, রক্ত ও চোখের আই ফেইজ ইত্যাদি পরীক্ষা গুলি নিয়মিত করতে হয়। এছাড়াও দুই মাস পরসপর ব্রণ মেরুদন্ড টেস্ট, সিটি স্কিন ও ইসিজি বাধ্যতামূলক করাতে হয়। এসব চিকিৎসা করতে প্রতি মাসে প্রয়োজন হয় ২৫/৩০ হাজার টাকা। সামান্য আয় রোজগারী অসহায় পিতা আব্দুল জলিল এখন তার সন্তানের চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারছে না।
তিনি বলেন, আমার ছেলেও সমাজের অন্যান্য শিশুদের মতো বাঁচতে চায়। সেও বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আজ আমি বড় অসহায়। আমার ছেলেকে বাঁচাতে চাই। এমন অবস্থায় আমার সন্তানকে বাচাঁনোর জন্য সুচিকিৎসার জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন করছি সকলের কাছে। বিত্তবানবার এগিয়ে এলে আমার সন্তানকে সন্তানকে বাঁচাতে পারবো বলে আমি আশাবাদী। যদি কেউ সহায়তায় এগিয়ে আসেন তাহলে নিন্ম ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারেন। আব্দুল জলিল মিয়া সাং- পূর্ব লালপুর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ। মোবাইল-০১৭৯০৭০৮৭০৭।