আগের দিন তামিম ইকবাল যখন সেঞ্চুরি করেও এগোচ্ছিলেন সামনে, তখন মনে হচ্ছিল প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫০০০ টেস্ট রানের মাইলফলক ছোঁবেন তিনি। তবে তিনি আহত অবসরে যাওয়ায় সুযোগটা এসে পড়ে মুশফিকুর রহিমের সামনে। সেটা দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান লুফে নিয়েছেন দারুণভাবেই। ইতিহাসটা গড়েন তিনিই।
তবে এর আভাস মিলছিল আগে থেকেই। সে কারণেই কি-না, বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল আগে থেকেই একটা কেকের ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন, যেন দিনের খেলা শেষে ড্রেসিং রুমে উদযাপনটা করা যায়। সেই উদযাপনে মুশফিক কেক তো কাটলেনই, বাংলাদেশকে শুনিয়েছেন বড় আশার কথাও।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে মুশফিকের রান ছিল ৪৯৩২, যা ছিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। সে রান অবশ্য ৪৮৪৮ রান নিয়ে ম্যাচ শুরু করা তামিম তৃতীয় দিনের শুরুতে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন। তবে তিনি ক্র্যাম্পের কারণে থামেন ৪৯৮১ রানে।
গতকাল ব্যক্তিগত ৫০ রান করতেই দেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট রানের রেকর্ডটা আবারও নিজের করে নেন মুশফিক। এরপর অপেক্ষা ছিল ৫০০০ রান ছোঁয়ার। সে অপেক্ষাটাও শেষ হয় আজ। সকালের সেশনে ব্যক্তিগত ৬৮ রান করতেই রেকর্ডটা এসে পায়ে লুটিয়ে পড়ে মুশফিকের। এরপর সেঞ্চুরিটাও তুলে নিয়েছেন তিনি।
দিনের খেলা শেষে ড্রেসিংরুমে যেতেই হয় সেই উদযাপন। কেক কেটে সবাই মুশফিকের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। বিসিবির এক ভিডিওতে দেখা যায় তা। সেখানে দেখা মেলে আরও এক দৃশ্যের। সেখানে মুশফিক ডেকে আনেন মাহমুদুল হাসান জয়কে। তার মুখে কেক তুলে দিয়ে মুশফিক বলেন, ‘তুই পাঁচ হাজার রান না, দশ হাজার রান করবি।’
এরপর সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, প্রথম তিনি হলেও এটাই যে শেষ নয়, সে বিষয়টি। মুশফিকের বিশ্বাস, জুনিয়ররা তো বটেই, সিনিয়রদের অনেকেও ছোঁবেন এই মাইলফলক। মুশফিক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫০০০ রান করেছি, খুব ভালো লাগছে। সিনিয়র-জুনিয়রদের অনেককেও দেখব ভবিষ্যতে টেস্টে আট-দশ হাজার রান করবে।’