সোনারগাঁয়ে ২ মাসের শিশুর হত্যাকারী ঘাতক পলাতক পিতা হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)।
হৃদয় (২০) ভোলার ফরফ্যাশনের লডারিন্স বাজারের বাবুল মিললের ছেলে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব ১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) এসএমপি সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন আখালিয়া ভার্সিটি এলাকার মেজু ভ্যারাইটিজ স্টোরের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ২৬ অক্টোবর সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বালুর মাঠ এলাকায় জসীম উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ হৃদয় (২০) ও তার স্ত্রী মোছাঃ নাদিয়া আক্তারের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। পরবর্তীতে নাদিয়া আক্তার সকাল সাড়ে ১১ টায় কাঁচপুর বাজারে তাদের ০২ মাসের শিশু সন্তান আয়েশা সিদ্দিকার জন্য দুধ কিনতে যান। বাসায় ফিরে দেখেন শিশু কন্যা আয়েশা সিদ্দিকা আর বেঁচে নেই। তার কান্নাকাটির আওয়াজ পেয়ে বাড়ির আশেপাশের লোকজন এসে দেখতে পায় শিশুটির নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। নিহতের মা নাদিয়া আক্তার জানান যে, ২ মাস পূর্বে তাদের সংসারে কন্যা সন্তান জম্ম হওয়ায় সেটা তার স্বামী মেনে নিতে পারেনি। তাই কন্যা সন্তানটিকে জম্মের পর থেকেই মেরে ফেলার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করেছিল। একসময় তার স্বামী মোঃ হৃদয় সিনহা গার্মেন্টসে কাজ করতো। তবে গার্মেন্টসটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সে দিন মজুরের কাজ করে তাদের সংসার চলাতো। ধীরে ধীরে তার স্বামী মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। তাছাড়া প্রায় সময় তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। ২৬ অক্টোবর সকালে মেয়ের খাবার নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ড হয়। সে তার ০২ মাস বয়সী মেয়ে কন্যা সন্তানকে সকালে গোসল করিয়ে ঘুম পাড়িয়ে কাঁচপুর বাজারে দুধ কিনতে যায়। এক পর্যায়ে ঘুম থেকে জেগে কন্যা সন্তানটি কান্না করায় তার বাবা মোঃ হৃদয় শিশুটির মুখ চেপে ধরে হত্যা করেছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় নাদিয়া আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর হতে উক্ত আসামি পলাতক ছিল।
গ্রেপ্তারকৃত হৃদয়কে সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।