মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচীর আওতায় আসা ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
জালিয়াতির বিষয়টি জানার পর ওই ইউপি সদস্যের কাছে কারণ জানতে চেয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার। নিয়েছেন অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা।
ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হাছান আলী। সে আড়াইহাজার উপজেলার চৈতনকান্দা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর কাচারী হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, চলতি অর্থবছরে ২০২১ – ২০২২ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচীর আওতায় নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক ১ম পর্যায়ে (প্রকল্প নং বি/০৭) আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের চৈতনকান্দা কাচারী বাজার মাদ্রসার মাঠ ভরাট ও উন্নয়নের জন্য তিন লাখ ৫৭ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। ওই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য হাছান আলী মাদ্রাসা সভাপতি আব্দুর রহমান মাস্টার ও সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দিন মাস্টারসহ কমিটির স্বাক্ষর জাল করে গত ২৬ জুন এক লাখ ৫৭ হাজার টাকা উপজেলা প্রকল্প অফিস থেকে উত্তোলন করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার২৪ আগস্ট ইউপি সদস্য হাছান আলীকে এ ব্যাপারে লিখিত জবাব দেয়ার জন্য নোটিশ করে।
নোটিশে ইউএনও উল্লেখ করেন, মাদ্রাসার কোন সদস্য না হয়ে আপনি (ইউপি সদস্য হাছান আলী) প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি হয়েছে যা প্রকল্প বাস্তাবায়ন নির্দেশিকা ২০২১ এর অনুচ্ছেদ ৮ এর ছ (৫) এর পরিপন্থী। অধিকন্তু আপনি (ইউপি সদস্য হাছান আলী) প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির স্বাক্ষর নকল করে প্রকল্প কাজের ছবি দেখিয়ে ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা পিআইও অফিস থেকে উত্তোলিত অর্থ মাদ্রাসায় জমা দেননি মর্মে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। এ ব্যাপারে অর্থ আত্মসাতের আনিত অভিযোগ বিষয়ে আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে লিখিত জবাব প্রদানের নির্দেশ দেয়া হলো।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হাছান আলী টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘২২ হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে তিনি মাদ্রাসা বালু ভরাট করেছেন। মাদ্রাসায় কোন কমিটি নেই। ষড়যন্ত্র ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসার টাকা সঠিকভাবে ব্যয় করার জন্যই তিনি টাকা উত্তোলন করেছেন বলে দাবী করেন।’