নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বাংলাদেশ একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছে। ১৯৭১ সনে যে অঙ্গীকার ও উদ্দেশ্য নিয়ে এই দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
মোটা ভাত ও মোটা কাপড়ের পাওয়ার জন্য যে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ তা জনগণকে ভুলিয়ে দেওয়া শুরু করেছে। আপনারা জানেন আওয়ামী লীগ এমন একটি দল যে দল গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। তারা জনগণকে ভোট দিতে দেয় না। তারা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়।
বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার (২০ মার্চ) বাদ আছর বন্দর উপজেলাধীন ধামগড় ইউনিয়নে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন গত সাতই জানুয়ারি নির্বাচনে এদেশের জনগণসহ বিশ্বের রাজনৈতিক থেকে এদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য বলা হয়েছিল। অথচ এই সরকার এদেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তি ও বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে একটি প্রশাসনের নির্বাচন করেছে।
এ দেশকে উত্তরণের জন্য আমাদেরকে আন্দোলন করতে হবে। আজকের পনেরো বছর ধরে ক্ষমতায় থেকেও এই সরকার দেশকে একটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। দুর্নীতি মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এমপি-মন্ত্রীরা ও প্রধানমন্ত্রী আত্মীয়-স্বজনরা এদেশকে লুটেপুটে লক্ষ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছে। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচারের কারণে আজকে দেশে ডলার সংকট দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি।
তিনি আরও বলেন, আজকে বাজারে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে। বিএনপির আমলে যে চালের কেজি ছিল ২২ টাকা আজকে সেই চালের কেজি হয়েছে ৭০ টাকা। আজকে যদি আওয়ামী লীগ আরও ক্ষমতায় থাকে তাহলে আমাদেরকে দুইশত টাকা কেজি দরে চাল খেতে হবে। জানেন এ চাল ডাল, চিনিসহ দ্রব্যমূল্যর বৃদ্ধির একটাই কারণ সেটি হলো আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিদের লুটপাট। আজকে মানুষ দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারেন না।
আর যদি আজকে ২ হাজার টাকা কেজিও চালের দাম হয় তাহলে আওয়ামী লীগের নেতা এমপি মন্ত্রীদের চাল কিনার টাকার অভাব হবে না। তারা যেভাবে লুটপাট করে ও দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার মালিক হয়েছে সেই টাকা কোনদিনই শেষ হবে না।
তাই এই সরকার জনবান্ধব সরকার নয়। এই সরকার জনগণের রক্ত চুষে তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়। সুতরাং এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না। ঈদের পরে আন্দোলন সংগ্রাম হবে। সে আন্দোলনের সংগ্রামে আপনারা সবাই শরিক হবেন।
ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ফতেহ রেজা রিপন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন শিশির।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিন আহমেদ, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, হুমায়ূন কবির,বন্দর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাওলাদ হোসেন, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন রিপন, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, ডা. নজরুল ইসলাম, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রাজু আহমেদে, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম,বন্দর উপজেলা যুবদল নেতা ওদুদ সাগর,বন্দর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাকিব রাইয়্যানসহ বন্দর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ আপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন ইউসুফ, সহ- সভাপতি মো. কবির ও মোশারফ মৃধা।