স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, ‘আক্রমণভাগ জেতায় ম্যাচ। আর রক্ষণভাগ জেতায় শিরোপা।’ তার অমর বাণী মধুর করে গড়ে তুলেছে ইংলিশরা। ইউরোর এই আসর এখন পর্যন্ত কোনো গোলই হজম করতে হয়নি তাদের। উল্টোর গ্রুপ পর্বের মতো নকআউটে এসেও একের পর এক দাপুটে জয় তুলে নিচ্ছে তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে ইউক্রেনকে উড়িয়ে পঁচিশ বছর পর সেমি-ফাইনালে উঠেছে গ্যারেথ সাউথগেট দল।
আজ শনিবার রাতে রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোয় ৪-০ গোলে জিতেছে ইংলিশরা। জোড়া গোল করেন হ্যারি কেইন, এ ছাড়াও একটি করে গোল করেন ম্যাগুইয়ার ও জর্ডান হেন্ডারসন।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। চতুর্থ মিনিটে হ্যারি কেইনের দারুণ গোলে লিড নেয় ইংলিশরা। পিছিয়ে পড়ে ইংলিশদের উপর চটে বসে ইউক্রেন। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় তারা। তবে ইংলিশদের জমাট রক্ষণের বাধা টপকাতে পারেনি শিরোপার স্বপ্ন দেখতে থাকা ইউক্রেন। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের পর প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালেও নিজেদের জাল অক্ষত রাখা ইংলিশরা কোনোভাবেই আক্রমণ বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেয়নি।
এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা রঙিন হয় ইংলিশদের। ৪৬তম মিনিটের মাথায় ম্যাগুইয়ার দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান বাড়ায় ইংলিশরা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইউক্রেন। চার মিনিটের ব্যবধানে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন কেইন। আসরে এটি তার তৃতীয় গোল।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পরও ম্যাচের নার্ভ ধরে রাখে ইংল্যান্ড। খুবই সতর্কতার সঙ্গে ইউক্রেনের রক্ষণে ভীত গড়তে থাকে কেইন, হ্যান্ডারসনরা। তিন গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ইউক্রেন। ৬৩তম মিনিটে দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন হেন্ডারসন। এরপর আর কোনো গোল হয়নি। ১৯৬৬ পর বড় কোনো টুর্নামেন্টের নকআউটে এসে ৪-০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে ইংলিশরা। সেমি-ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষে আগের ম্যাচে চেক রিপাবলিককে হারানো ডেনমার্ক।