আড়াইহাজার থেকে আন্তঃজেলা একটি ডাকাত চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১১। র্যাবের দাবি আটককৃতরা কাশেম বাহিনীর। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার সরাবদী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭টি ককটেল, ৩টি ছোড়া, ১টি কাটার, ২টি ক্রোবার, ৫টি টেটা, ১৩টি টর্চ লাইট, ১টি রূপার চেইন, ২৪ হাজার ৯০০ টাকা ও ৯টি মোবাইল উদ্ধার করা হয় বলে জানায় র্যাব।
আটককৃতরা হলেন, আড়াইহাজারের গোপালদী এলাকার মৃত আবু তালেবের ছেলে আবুল কাশেম (৩৩), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের তেজখালী এলাকার মৃত নীল মিয়ার ছেলে মো. বাবু (২৬), আড়াইহাজারের কাজীপাড়া এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে মো. ওমর ফারুক (২৭), গোপালদি দাইরানি এলাকার মৃত মোস্তফার ছেলে মো. লিটন (২৪), মারুবাদী এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. সবুজ (২৮), নরসিংদীর মাধবদীর চকড়িয়ার ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (২৮), আড়াইহাজারের জুকার দিয়া এলাকার মো. আলম ভূঁইয়া রুমন ভূইয়া (২৫), গোপালদী এলাকার মো. আলমের ছেলে মো. আশরাফুল (১৯) ও কলাগাছিয়া এলাকার আব্দুল করিম মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল রানা (২২)।
র্যাব-১১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সানরিয়া চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ১২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল হাইজাদী ইউনিয়নের সরাবদী আতাদী চকের বাড়ি ও উদয়দী গ্রামের ৮টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় ডাকাতদের মারপিটে ৫ জন আহত হয়। ডাকাতদল স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা এবং অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। গ্রেফতার ডাকাতদলের সদস্যদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, তারা গত ১৯ সেপ্টেম্বর হাইজানী ইউনিয়নের সরাবদী আতাদী চকের বাড়ি ও উদয়দী গ্রামের ৮টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তার ১ নম্বর আসামি মো. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা, ২ নম্বর আসামি মো. বাবুর বিরুদ্ধে ৬টি মামলা, ৩ নম্বর আসামি মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে ১টি মামলা, ৫ নম্বর আসামি মো. সবুজের বিরুদ্ধে পুরনো ১টি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে। এই সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি এর আগেও পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব-পরিকল্পনামাফিক দীর্ঘদিন যাবৎ আড়াইহাজার থানা এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে এবং আর্থিকভাবে সচ্ছল পরিবারগুলোকে টার্গেট করে ডাকাতি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় র্যাব।