নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ২০-২৫জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আড়াইহাজারের সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাচরূখি বাজার এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতদের নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, বিএনপির একটি পদযাত্রা কর্মসূচি ছিলো। তারা ওই কর্মসূচি করার সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ করে গাড়ি ভাংচুর করার চেষ্টা করে। প্রথমে ওনাদের ভালো ভাবে মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বলার পরেও তারা রাজি না হওয়ায় আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেই।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু মহাসড়ক বন্ধ করে সাধারণ জনগনের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে তাই আমরা একটি মামলা করবো।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আড়াইহাজারের প্রতিটি ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করি। এরই ধারাবাহিতকায় আমরা সাতগ্রাম ইউনিয়নে পদযাত্রা নিয়ে বের হলে পুলিশ আমাদের বাঁধা দেয়, আর এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পুলিশও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে আমাদের ২০-২৫জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় পুলিশের ধাক্কা-ধাক্কিতে আমিও আহত হই।
আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল বলেন, পুলিশের গুলিতে আমাদের বিএনপির ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে গাউসিয়া হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি জানান, আমাদের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ন পদযাত্রা করে মহাসড়কে উঠা মাত্রই ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুন্ডারা ও পুলিশ তাদের উপর হামলা করে। এসময় নজরুল ইসলাম আজাদসহ অর্ধশতাধীক নেতাকর্মি আহত হয়। আওয়ামী লীগ ও পুলিশ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এই হামলা চালিয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।