আড়াইহাজারে নাশকতার অভিযোগে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৪৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছে পুলিশ৷ রোববার (২৭ নভেম্বর) সকালে আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন মিয়া বাদী হয়ে নাশকতার অভিযোগে মামলা করেছেন৷
মামলায় আড়াইহাজার থানা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী মেম্বার, ছাত্রদলের সভাপতি জুবায়ের রহমান দিপু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বাচ্চু মিয়াসহ ৪৩ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত ৫০-১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার৷
তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় মদনপুর আড়াইহাজার সড়কে ছাত্রদল একটি মশাল মিছিল বের করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়৷ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছাত্রদলের ১ জনকে আটক করে৷ এ সময় ৬২টি মশাল উদ্ধার করা হয়৷ পরে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷
মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের রাধানগর এলাকার মতিনের ছেলে ছাত্রদল নেতা রতন ও উপজেলার চামুরকান্দী এলাকার মুনছুর আলীর ছেলে মোজাম্মেল৷
এদিকে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলায় ছাত্রদলের মশাল মিছিলের প্রস্তুতির সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা হামলা চালায়৷ এ ঘটনায় ছাত্রদলের অন্তত ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জোবায়ের রহমান জিকো জানান, কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিলের প্রস্তুতির সময় উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শরিফুল আলমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৩০-৪০ জনের একটি দল লাঠিসোটা ও দা নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। হামলার পর তারা রতন মিয়া নামে এক ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে দেয়৷