আড়াইহাজারে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত মা ও মেয়েকে অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ার ঘটনায় দগ্ধ নারীর দ্বিতীয় স্বামী খোকন মিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাব-১১ সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ব্যাটেলিয়ানের উপ অধিনায়ক মেজর সানরিয়া চৌধুরি।
এরআগে বুধবার দিনগত রাতে কুমিল্লার তিতাসের রায়পুর পুরান বাতাকান্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার খোকন মিয়া আড়াইহাজারের গোপালদী পৌরসভার গায়েনপাড়া এলাকার মৃত আনসর আলীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর সানরিয়া চৌধুরি জানান, প্রথম স্বামীকে তালাক দেয়ার পর ছয় বছর বয়সের মেয়ে মারিয়াকে নিয়ে মোর্শেদা আক্তার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার গায়েনপাড়া এলাকায় বাবার বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন।
গত পাঁচ মাস আগে খোকন মিয়ার সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তবে এটি মোর্শেদার দ্বিতীয় বিয়ে হলেও খোকন মিয়ার তৃতীয় বিয়ে ছিল। বিয়ের পর থেকে মেয়ে মারিয়াকে তার নানার বাড়িতে রেখে আসতে স্বামী খোকন মিয়া মোর্শেদাকে চাপ প্রয়োগ করেন।
মোর্শেদা রাজি না হওয়ায় খোকন মিয়া তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। পরে অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ায় গত তিন মাস আগে মোর্শেদা তার মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান এবং সেখানেই বসবাস করতে থাকেন।
সেই ক্ষোভ থেকে গত ২৩ জুন রাতে খোকন মিয়া মোর্শেদার বাবার বাড়ির জানালা দিয়ে ঘুমন্ত মোর্শেদা ও তার মেয়ে মারিয়ার শরীরে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। এতে মোর্শেদার পা ও মেয়ে মারিয়ার মুখ ঝলসে যায়।
এসময় তাদের চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা ও আশপাশের লোকজন এসে দগ্ধ মা-মেয়েকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধিন আছেন।
এ ঘটনায় দগ্ধ মোর্শেদার মা সাহেদা বেগম অভিযুক্ত খোকন মিয়াকে আসামি করে গত ৪ জুলাই (মঙ্গলবার) আড়াইহাজার থানায় মামলা করলে পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি খোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।