‘ধর্মীয় ইস্যু’তে বিপাকে পড়েছেন বলিউড সুপারস্টার আমির খান। অনেকদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে ‘বয়কট’ প্রচারণা চালানো হচ্ছে। যার ফলে তার সদ্য মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘লাল সিং চাড্ডা’ মুখ থুবড়ে পড়েছে। সিনেমাটির হাজার হাজার শো বাতিল করে দিচ্ছেন হল মালিকরা।
এমন দুঃসময়ে আরেকটি বড় জটিলতায় পড়লেন আমির খান। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’-এর অভিযোগে তার নামে দিল্লি পুলিশ বরাবর মামলা করেছেন বিনীত জিন্দাল নামের এক আইনজীবী।
কেবল আমির খান নয়, ‘লাল সিং চাড্ডা’র পুরো টিমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই আইনজীবীর দাবি, সিনেমাটিতে ভারতের সেনাবাহিনীকে ‘অসম্মান’ করা হয়েছে এবং হিন্দুদের ‘ধর্মানুভূতিতে আঘাত’ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেল, দাঙ্গা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উস্কানি দেওয়া (১৫৩), বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করা (১৫৩ ক), কোনও ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা (২৯৮)-র মতো ধারায় মামলা দায়ের করেছেন ওই আইনজীবী।
প্রযোজক প্যারামাউন্ট পিকচার্স, আমির খান থেকে শুরু করে পরিচালক অদ্বৈত চন্দন, সবার নামেই মামলা ঠোকা হয়েছে। অভিযোগে এ-ও লেখা আছে যে, ‘নির্মাতারা একজন মানসিক প্রতিবন্ধীকে কার্গিল যুদ্ধে পাঠিয়েছেন, যেটা বাস্তবে সম্ভব নয়। এই অবস্থায় তাকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার অনুমতি কীভাবে দেওয়া হলো, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ কঠোরভাবে প্রশিক্ষিত সেনা ছাড়া কেউ সীমান্তে যেতে পারেন না। অতএব, নির্মাতারা ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বদনাম করছেন।’
সিনেমার একটি দৃশ্য এমন- ‘‘আমি নামাজ পড়ি এবং প্রার্থনা করি, লাল, আপনি কেন তা করেন না?’’ সেখানে লালের উত্তর, ‘‘আমার মা বলেছেন, এই সব পূজাপাঠ ম্যালেরিয়া। এতে দাঙ্গা হয়।’’
এই বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীর বক্তব্য, ‘এটি হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে মানহানিকর বিবৃতি। এতের দাঙ্গার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, অস্কারজয়ী হলিউড সিনেমা ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর অফিসিয়াল রিমেক ‘লাল সিং চাড্ডা’। এতে আমির খানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন কারিনা কাপুর, নাগা চৈতন্য প্রমুখ।