নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেছেন, দ্রব্যমূলের উর্ধবগতি যে আজকে সীমাহীন পর্যায়ে চলে এটা আওয়ামীলীগ ছাড়া সবাই বিশ্বাস করে। আওয়ামীলীগের কিছু দোষরা আছে তারা এগুলো বিশ্বাস করে না। আওয়ামীলীগ নামের কোন দল আছে বলে আমার কাছে মনে হয় না।
আওয়ামী লীগের একটি নতুন নাম দেওয়া উচিত এটাকে প্রশাসন লীগ হিসেবে বলা চলে। কারন আওয়ামীলীগ এখন প্রশাসন লীগ হয়ে গেছে। যখন জনগণের দল ছিল তখন আওয়ামী লীগ বলা হতো এখন তো এটা প্রশাসন লীগ। প্রশাসনের উপরে ভর করে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে জব্দ করে জনগণের উপর জোর জুলুম করে ক্ষমতায় টিকে আছে।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি শক্তিশালী সংগঠন। সাধারণ মানুষের আস্থাশীল সংগঠন হলো বিএনপি। বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ মানুষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের লক্ষ্যে।
আপনারা জানেন শেখ হাসিনার যে রাজনৈতিক কৌশল দেশ পরিচালনার যে সীমাহীন ব্যর্থতা সেটা আমরা যতটুক না তুলে ধরতে পেরেছি তার কাছ থেকে অত্যাচারিত নির্যাতিতার এতটাই ভয়াবহ ছিল যা আমরা কুলিয়ে উঠতে পারিনি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপি’র আওতাধীন ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলনে বিশেষ হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা গুলো বলেন। রবিবার ( ২১মে ) বিকেল শহরের চাষাড়া এলাকায় এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে বললো আমাদের শক্তি, সাহস ও সমর্থক সমস্ত কিছু ছিল। যেটা ছিল না সেটা হল আমাদের ঐক্যবদ্ধতার অভাব ছিল। আমাদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। বিএনপি থেকে অনেক সুবিধা নিয়েছেন অনেক নেতৃবৃন্দ নারায়ণগঞ্জে আছেন।
তাদের সক্রিয় ভূমিকা দীর্ঘ পনেরো বছর যাবত আমরা দেখিনি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দর্শনই ছিল ব্যক্তির চেয়ে দল বড় দলের চেয়ে দেশ বড়। দেশের মানুষের মুক্তির লোকে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে বিকল্প কিছু নেই।
যারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দর্শনকে বিশ্বাস করেন তাদের এখনই সময় সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে এক ছাতার নিচে চলে আসা। যত দ্রুত আসবেন ততই আপনাদের জন্য মঙ্গল।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ সরকারের অবৈধ মন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছেন একসময় যিনি একটি সিগারেট কিনে খাওয়ার টাকা ছিল না তিনি এখন ব্যাংক একটা মালিক। মন্ত্রীদের মধ্যে অনেক মন্ত্রী আছে যারা এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খাদ্য খাদ্য দ্রব্যেল সবকিছু তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। আজকে কর্পোরেট সেক্টরে কোম্পানি তারা মুড়ি চাল ডাল সব তৈরি করছে বিক্রি করছেন। রাস্তাঘাট বড় বড় বিল্ডিং তারাই তৈরি করছেন। এ সকল কিছু তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে।
আজকে সিন্ডিকেটের কারণেই বাজারের এই দুরবস্থা। এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশের মানুষ। আমাদের দায়িত্ব কিন্তু আরও বাড়িয়ে দেয়। আজকে তেল গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেয় আমরা কোনো প্রতিবাদ করতে পারি না। কারণ আমাদের মধ্যে সমহীনতার অভাব রয়েছে।
যারা একসময় এমপি ছিল মন্ত্রী ছিল তারা কিন্তু এখনো রাজপথে নামেন না। এ সকল কিছুর বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করেন না। কেউ নামুক আর না নামুক নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি কিন্তু ঠিকই প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
তারা যেভাবে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় কাজ করে যাচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিব বলে আমি অন্তত বিশ্বাস করি।
মহানগর ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. হারুন শেখ’র সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা শেখ আঞ্জুম আহম্মেদ রিফাতের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা.মজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ রানা, সদস্য সচিব এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, বন্দর থানা বিএনপি’র সদস্য সচিব নাজমুল হক রানা।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান, বরকত উল্লাহ, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সেলিম আহমেদ, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ, মোহসীন মিয়া, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ,মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।